E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশের কৃষিতে নতুন রোগ: হতাশ কৃষক, দুশ্চিন্তায় কৃষিবিজ্ঞানীরা

২০১৭ এপ্রিল ১৯ ১২:৫৯:৫২
বাংলাদেশের কৃষিতে নতুন রোগ: হতাশ কৃষক, দুশ্চিন্তায় কৃষিবিজ্ঞানীরা

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের ধান ও গমে নতুন ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে উৎপাদন কম হওয়ায় হতাশ কৃষক আর দুশ্চিন্তায় কৃষিবিজ্ঞানীরা।

১৯৮৫ সালে ব্রাজিলে প্রথম এ রোগটি দেখা দিলেও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেই গতবছর প্রথম এ রোগটি দেখা দেয়। গত বছর দেশের আটটি জেলার প্রায় ১৬ হাজার হেকটর জমির গমে এ রোগ দেখা দেয়। ফলন পুড়িয়ে ফেলেও তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে প্রায় ৪০টি ফসলের মধ্যে এ রোগ দেখতে পেয়েছেন কৃষি বিজ্ঞনীরা। এর ফলে ফসলের উৎপাদন প্রায় ৪০ ভাগ কমে গেছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, বিদেশ থেকে অমদানী করা বীজ থেকে এ রোগ ছড়াচ্ছে। গমের ব্লাস্ট রোগ যে জীবাণু দিয়ে হয়ে থাকে ঠিক একই প্রজাতীর জীবাণু দিয়ে ধানেরও ব্লাস্ট রোগ হয়, তবে দু’টোর রেস দু’রকম। এ রোগটি প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বীজ শোধন করে লাগালেও পরবর্তীতে একই এলাকার অন্যের জমিতে এ রোগটি দেখা দিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বীজ আমদানীকারী প্রতিষ্ঠান মল্লিকা সীড কোম্পানীর মালিক জনাব ফজলুর রহমান জানান, সরকারের পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়া এবং অনুমতি ছাড়া কোনো আমদানী কারক বিদেশ থেকে বীজ এনে দেশে বাজারজাত করতে পারে না। তবে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে বা সীমান্ত হাট চালু করার ফলে অনুমোদনবিহীন বীজ দেশে ঢুকতে পারে। তাই সরকারকে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হতে হবে।

একটি বীজ অমদানীকারক কোম্পানির মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আনা গম বীজের মাধ্যমে এ রোগটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। তবে তাদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমদানী করা বীজের মাধ্যমে রোগ-বালাই বন্ধ করতে হলে বন্দরগুলোতে বীজের পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা আরো জোরদার করা দরকার। একই সাথে সীমান্ত পথেও নজরদারী বাড়াতে হবে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test