E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাগুরায় বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

২০১৭ মে ০৬ ১৫:৩৫:০৩
মাগুরায় বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা জেলার সর্বত্রই শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। ধানের ভালো ফলন পেয়ে  এলাকার কৃষকেরা ভীষণ খুশি হলেও ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন জেলার কৃষকেরা।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার চার উপজেলায় এবার ৩১ হাজার ৭৮৫ হেক্টরে বোরোর আবাদ হয়েছে। হেক্টরে ৪ দশমিক ৮ মেট্রিকটন হিসেবে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৮মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

শালিখা উপজেলার চুকিনগর গ্রামের কৃষক অনিল মন্ডল, তপন বিশ্বাস, শংকর প্রামানীক, উজগ্রামের কৃষক আবু হোসেনসহ একাধিক কৃষকেরা জানান, এবার প্রতি বিঘায় (৩০ শতক) ২৪-২৫ পাঁচ মণ করে ধান হয়েছে। বাজারে বর্তমানে ভিজা ধানের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। কিন্তু প্রতি বিঘায় ধান উৎপাদনের জন্য তাদের দশ থেকে বারো হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাই ধানের দাম না বাড়লে তাদের লোকসান হবে।

কৃতান্ত বিশ্বাস সহ একাধিক কৃষকেরা বলেন, ‘ধান পাকার আগে একটু ঝড় বৃষ্টি না হলে ফলন আরও ভালো হতো। এ জন্য কিছুটা কম ফলন হয়েছে। ধানের ন্যায্য দাম পেলে এখন যা পাচ্ছি তা দিয়ে কোনো রকমে জান বাঁচাতে পারব)।’ মাগুরাসদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলার প্রায় সবমাঠে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।

মহম্মদপুরের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষ দিকেই ধান কাটার জন্য ঠিক করে নিয়েছেন তিনি। তিনি এবার ৭০ শতকে বোরো আবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত ৩০ শতকের জমি থেকে তিনি ২২ মণ ধান পেয়েছেন। পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। বাম্পার ফলন হওয়ায় তিনি খুশি।শুধু কবির হোসেন নন আরও অনেক কৃষক ধান কেটেছেন।

শ্রীপুরের কাজলি গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ বোরোর উপর এবার নানা আপদ-বিপদ যাচ্ছিল। এই ফসলের ওপর কৃষকেরা অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই আমাদের কাছে ফসল ঘরে তোলার আনন্দের চেয়ে আর বড় কোনো আনন্দ নেই।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন মাঠে পাকা ধানেরসোনালী শিষ বাতাসে দুলছে। কৃষকেরা ধান কাটাছেন।কেউ আবার প্রস্তুতি হিসেবে যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন। কৃষাণীরা ধান মাড়াইয়ের উপকরণ ও ধান রাখার গোলা ঠিক করার কাজ করছেন।

বালিদিয়ার কৃষক আসগর আলী বলেন, ‘ বোরো ফসলের ওপর আমার পরিবার নির্ভরশীল। এবার আড়াই বিঘায় বোরো আবাদ করেছি। বছরের খাবার রাখার পর বাকি ধান বিক্রি করে দেব বলে জানান।’

সদর উপজেলার ভাবন হাটি গ্রামের প্রবীন কৃষক মকছেদ মোল্যা বলেন, কৃষিনির্ভর জেলার মানুষ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। তাই বোরো ধান তোলার সময় কৃষক পরিবারে সব সদস্য মিলে আনন্দের মধ্য দিয়ে গোলায় ধান তোলেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা জানান, ‘লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এখন ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।’

(ডিসি/এসপি/মে ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test