E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কৃষি খামার করে সফল ঈশ্বরদীর কৃষক জিল্লুর

২০১৭ মে ২২ ২০:১৩:৪৯
কৃষি খামার করে সফল ঈশ্বরদীর কৃষক জিল্লুর

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :  ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে জিল্লুর কৃষি খামার করে সফলতা অর্জন করেছেন। বিএ অনার্স পাশ করে চাকরি কিংবা ব্যবসাতে না গিয়ে কৃষিকাজে নেমে পড়েন। নাজমুল ইসলাম জিল্লুর এখন ‘সেভ এগ্রো ফার্মের’ স্বত্তাধিকারি। পেয়ারা, আম, লিচু, কাঁঠাল, দেশি লেবু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, মুলা, আলু, বেগুনসহ নানা ধরনের সবজি মিলে তিনি শতাধিক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন। প্রতি বছর বৃক্ষ রোপন করে তিনি এলাকায় খ্যাতি অর্জন করেছেন। 

কৃষক জিল্লুর জানান, লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পিছনে সময় নষ্ট না করে কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০০৬ সালে মা ও মাটিকে ভালবেশে কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়ি। সে সময় নিজের হাতে লিচু, আম, কাঁঠাল ও পেয়ারার গাছ রোপন শুরু করি। এই গাছ এখন বিশাল আকার ধারন করেছে। এবারে তাঁর খামারে বিপুল পরিমাণ লিচু, আম, কাঁঠাল ও পেয়ারার ফলন হয়েছে। পরিশ্রম ও নিষ্ঠা যে মানুষকে ক্রমশ: উপরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজেই। জিল্লুর আরো জানান, কৃষিকে এখন আর খাট করে দেখার উপায় নেই। আধুনিক কৃষিব্যবস্থা দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে কৃষি পণ্য আজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষকেরা পরিশ্রম করে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কৃষি পণ্য উৎপাদন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে যাচ্ছে। এটা অতি সন্নিকটে- আর বেশি দেরি নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আমার দেখাদেখি এই এলাকার অনেক যুবক কৃষি খামার করে লাভবান হয়েছেন। চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ঘুরে কৃষি খামার করে স্বাবলম্বি হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিক ভাবে চরম লাভবান হওয়া যায়। তাই তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের কৃষি খামার করার জন্য আহ্বান জানান।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রওশন জামাল বলেন, শিক্ষিত যুবক নাজমুল ইসলাম জিল্লুর পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে সংগ্রাম করে সাহসিকতার মধ্য দিয়ে কৃষি খামার করে তিনি একজন সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কঠোর পরিশ্রম করে জিল্লুর একজন মডেল খামারি হিসেবে ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীতে পরিচিতি লাভ করেছেন। জিল্লুর সফলতা দেখে ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের যুবকেরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছেন। কৃষি কর্মকর্তা জানান, পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে জিল্লুর মতো সকলেই এক সময় উপরে উঠতে থাকবে। ফলমুল, সবজি ও গরু চাষি জিল্লুর খামারটি পরিপাটি ভাবে সাজানো গোছানো বলে তিনি জানিয়েছেন।

(এসকেকে/এএস/মে ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test