E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজারহাট চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

২০১৭ মে ৩১ ১৫:০৯:৪৬
রাজারহাট চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে চলতি খরিপ মওসুমে প্রায় ৩শত হেক্টর জমিতে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে বাদাম আবাদকারী কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। বর্তমানে বাদাম তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষকরা। এবারে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ধান ও পাটের আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হলেও বাদামের আবাদে প্রভাব পড়েনি। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বাদামের ফলন হয়েছে ভাল।

গত ৩১ মে বুধবার উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পাড়ামৌলার চর, শিয়াল খাওয়ার চর, তৈয়বখাঁর চর, গাবুরহেলান, আনন্দ বাজার, নাজিমখান ইউনিয়নের রতিদেব চর, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের রামহরি, চর খিতাবখাঁ, ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চরসহ চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়,দিগন্ত মাঠজুড়ে সবুজ বাদামগাছের সমারোহ।

পাড়া মৌলার চরের কৃষক আঃ হাকিম সবুজ(২৮) ও কামরুজ্জামান (২৯) জানান, ২৫বিঘা জমিতে প্রায় ৮/৯মেট্রিক টন বাদাম পাওয়া যাবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন বাদাম পাওয়া গেছে। এছাড়াও চরগুলোতে জাহেরুল ইসলাম(৩২), শাহজামাল(৩১), আঃ বাতেন(৫৫), মিজানুর রহমান(৪৫), পিয়ারুল ইসলাম(৩২), তৈয়বখাঁ চরের চাষী রফিকুল ইসলাম (৪০), মোহাম্মদ আলী (৪৩), আব্দুস ছালাম (৬২) সহ শতাধিক চাষী বাদাম আবাদ করেছেন।

তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান,এবারে ফলন ভালোই হয়েছে। তারা আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম আবাদে ৫ থেকে ৬হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক বিঘা জমির বাদামে খরচ বাদে ৮/৯ হাজার টাকা লাভ হবে। ফলে ধান ও পাট আবাদের চেয়ে বাদাম চাষ অধিক লাভ জনক। তাই কৃষকরা এ আবাদে বেশী ঝুঁকে পড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বাদামের মূল্য ৫৫টাকা থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান।

কৃষকরা সহজ শর্তে কিস্তিতে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা, চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ, সংরক্ষণাগার ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা চালু করলে কৃষকরা আরো স্বাবলম্বী হবে বলে অভিজ্ঞমহল জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ৩১মে বুধবার রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, চলতি খরিপ মওসুমে অত্র উপজেলায় প্রায় ২৮০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবং কৃষি অফিসারের পরামর্শের ফলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা খুশি আগামী বছরে আরো বেশী বাদামের চাষবাদ হবে বলে আশা করছি।

(পিএমএস/এসপি/মে ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test