E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে ইরি বোরোর বাম্পার ফলন, শ্রমিক সংকটে বিপাকে কৃষক

২০১৭ জুন ০৩ ১৬:২১:৫৩
নাগরপুরে ইরি বোরোর বাম্পার ফলন, শ্রমিক সংকটে বিপাকে কৃষক

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : কৃষি প্রধান বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ কৃষকের প্রধান উৎপাদিত ফসলই ধান। এখন এখানে সর্বত্র ধান কাটার মওসুম চলছে।

কৃষক তার জমি থেকে পাকা ইরি-বোরো ধান গোলায় তুলতে সময় পার করছে। কিন্তু ধান কাটার এ ভরা মৌসুমে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। আর সুয়োগে মৌসুমি শ্রমিকরা বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের রোজকার শ্রমিক মূল্য। এতে করে বিপাকে পড়েছে জমির মালিকরা, তাদের জমি থেকে সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারছেনা। যদিও এ উপজেলায় প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে তারপরও কৃষকরা চিন্তিত বাকী ধান সঠিক সময়ে কাটতে পরবেতো।

উপজেলার বনগ্রামের কৃষক আ. গফুর জানান, প্রথমে একজন ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য ছিল ৪০০-৪৫০ টাকা কিন্তু বৃষ্টির পর থেকে শ্রমিকের মূল্য দাড়িয়েছে ৫৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। এত দাম দিয়ে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটলে আমাদের লোকসান হবে তাই আমার জমির জমির সম্পুর্ন ধান এখন পর্যন্ত কাটতে পারিনি। কথা হয় বগুরা অঞ্চল থেকে আসা শ্রমিক ফরিদ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, আমরা ১০ জন এসেছি।আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে একত্রে কাজ করি। বছরের এই সময়টা আমরা আমাদের শ্রমের ভাল দাম পাই।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলায় মোট ১৫৬৮৮ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ১৬২৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হয়েছে। ধানের লক্ষমাত্রা ৬০৬১৬ মে.টন ধরা হয়েছিল। এতে যে ফলন হয়েছে সে লক্ষমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বোরো মাঠে ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার চৈত্রের শেষ দিকে কুয়াশা মনে শংকা জাগালেও অনুকুল পরিবেশ ও কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবার নাগরপুর উপজেলায় ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিএম রাশেদুল আলম জানান, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে প্রকৃতিক দূর্যোগ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এ উপজেলায় কোন ক্ষতি করতে পারেনি। ধানের রোগ বালাই রোধে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে সর্বক্ষন কাজ করেছে। কৃষকদের নিয়ে মাঠদিবস সহ কৃষকদের নানাবিধ পরামর্শ দিয়ে ধান উৎপাদনে সহযোগীতা করেছেন। শেষ সময়ে কোন প্রকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার এ উপজেলায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

(আরকেএসআর/এএস/জুন ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test