E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দিনাজপুরে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

২০১৭ আগস্ট ২২ ১২:৩৯:০৬
দিনাজপুরে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দিনাজপুরে ফসলি জমি’র ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমন ধানসহ মৌসুমি বিভিন্ন সবজি পানির নিচে এখনো তলিয়ে আছে। এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার বিনষ্ট ফসলি জমি সরেজমিনে পরিদর্শন এবং এ সময় করণীয় বিষয় নিয়ে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট-বারি’র প্রতিনিধি দল।

বন্যার পানি উচু জায়গা আর ঘর-বাড়ি থেকে সরে গেলেও এখনো দিনাজপুরের অনেক ফসলি জমি বন্যার পানিতে ডুবে আছে। এবাররের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার দিনাজপুরে এক লাখ ২৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েক’শ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ তথ্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের। বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের কৃষক।

দক্ষিণ কোতয়ালীর মহববতপুর এলাকার কৃষক হাজী মতিউর রহমান জানান, ‘এবারের বন্যা হামাক পালগ করি দিছে। নষ্ট করি ফেলাইছে, তামান ফসল। আমার এখন কি হবি আল্লাহ জানে !’

জেলা সদর,বিরল,বীরগঞ্জ,কাহারোল,খানসামা,পাবর্তীপুর, বোচাগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলায় বন্যায় ফসলি জমি’র ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি,পাটসহ অন্যান্য ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইতোমধ্যে কিছু এলাকার পানি নেমে গেলেও ফসল পঁচে গলে গেছে বলে জানান চিরিরবন্দর নশরতপুর এলাকার কৃষক রমজান। তিনি বলেন,‘হামরা সাড়ে ৩ বিঘা জমিত ধান লাগাইছোনো। তামান এখন শেষ !’

দিনাজপুর সদর,বিরল,কাহারোল ও চিরিরবন্দর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকায় বিনষ্ট ফসলি জমি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট-বারি’র প্রতিনিধি দল। এ সময় ফসল নিয়ে করণীয় বিষয় নিয়ে তারা কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট-বারি’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. শাহাজাহান কবীর এবং বারি’র রংপুর অঞ্চলের প্রধান ড.মো.আবু বকর সিদ্দিক সরকার।

প্রতিনিধি দল বলেন, ভেসে ওঠা ধানগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়ে ভালো ভাবে পরিচর্যা করলে তা বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া যে সব ধান বিনষ্ট হয়েছে তা এখনো ৩০শে ভাদ্র পর্যন্ত ধান লাগানোর সময় আছে। এসময় ব্রি-ধান-২২, ব্রি-ধান-৩৪,কাঠারি ভোগ এবং স্থানীয় জাতের ধান এ মূহুর্তে লাগানো সম্ভব। বীজতলা তৈরী করে ১৫/২০ দিনের মধ্যে তা লাগাতে হবে। এতে কৃষক তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

দিনাজপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ছয় লাখ ২২ হাজার ৮’শ ৮৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ কৃষক পরিবার বলে জানা গেছে।

(এসএএস/এসপি/আগস্ট ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test