E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যানজট নিরসনে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ১৫ সিদ্ধান্ত

২০১৪ জুলাই ০২ ১১:০০:১৬
যানজট নিরসনে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ১৫ সিদ্ধান্ত

স্টাফ রির্পোটার : ঈদ সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসনে ১৫টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এসব সিদ্ধান্ত আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে যানজট নিরসনে করণীয় বিষয়ক সভা শেষে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গৃহীত পদক্ষেপ কতটুকু বাস্তবায়ন হলো তা পর্যালোচনা করে ১১ জুলাই ফের বৈঠক করা হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্তগুলো কোনো কোনো সংস্থা বাস্তবায়ন করবে তারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সভার সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-

রাজধানীর যানজট নিরসনে মগবাজার-বাংলামোটর-মৌচাক-শান্তিনগর-সাতরাস্তা সড়ক অবিলম্বে যান চলাচল উপযোগী করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। ঈদের আগে ফ্লাইওভার নির্মাণ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


যাত্রাবাড়িতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নীচের সড়ক অবিলম্বে চলাচল উপযোগী করতে হবে।
এ ছাড়া রাজধানীর শান্তিনগরসহ অনেক এলাকার রাস্তায় বড় গর্ত রয়েছে। এগুলো অবিলম্বে মেরামত করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সংস্থাকে ফ্লাইওভার নিয়ে মালিক-ঠিকাদার সমস্যা নিরসন করার আহবান জানানো হয়েছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সড়কের উপরে ডাস্টবিন রেখে ময়লা ব্যবস্থাপনা করায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ডাস্টবিন রাখার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনতে হবে।


বিভিন্ন রাস্তায় কাটাকাটি-খোড়াখুঁড়ি কাজ চলছে। এগুলো ঈদের আগে আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। আর যেসব রাস্তায় খোড়াখুড়ি করা হয়েছে, সেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত করতে হবে। ঢাকা ওয়াসা এই রাস্তা কাটায় তারাই এই মেরামত কাজ করবে।


রাজধানীর বাইরে দেশের সব মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো মেরামত করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল সড়কের মেরামত কাজ ত্বরান্বিত করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।


ঈদের আগে ৭ দিন এবং পরে ৩ দিন মাওনা, চন্দ্রামোড়, কালিহাতি, জয়দেবপুর ইত্যাদি গুরুত্ত্বপূর্ণ সড়কে চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখতে হবে।


যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সড়ক দখলমুক্ত করতে হবে। কোনভাবে সড়ক দখল করে ভাসমান দোকানপাট বসানো যাবে না।


যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী উঠানামা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নেবে।


লঙ্কর-ঝক্কর মার্কা যানবাহন যেনো রাস্তায় চলতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নেবে বিআরটিএ। পুরনো যানবাহন চালাতে হলে প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ সম্পূর্ণ করেই নামাতে হবে।


গুরুত্ত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন গুলোতে সড়ক শৃঙ্খলায় রাখতে হবে। গাবতলীসহ ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।


সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, ডিএমপি’র কমিশনার বেনজীর আহমেদ, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন আহমেদ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসেন, সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম রাজখান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিসচা’র সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, নাট্যব্যক্তিত্ব মনির খান শিমুল, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
(ওএস/এএস/জুলাই ০২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test