E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয় ঘেরাও

২০১৪ জুলাই ০৩ ১২:২২:৪১
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয় ঘেরাও

স্টাফ রির্পোটার : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন কয়েকশ’ বিমান শ্রমিক। তবে কার্যালয়ে উপস্থিত নেই তিনি। পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি-দাওয়‍া না মানায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বলাকা ভবনে আসতে থাকেন শ্রমিকরা। সোয়া ১১টার দিকে তারা ঘিরে ফেলেন কার্যালয়।

এর আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সেখানে পেশ করা ৬ দফা দাবি না মানলে ৩ জুলাই বিমানের চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেন তারা।
এখন তারা ১৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন।
এর আগে সংস্থার অর্গানোগ্রাম প্রবর্তন, ইউনিফর্ম ভাতা চালুসহ ৬ দফা দাবিতে এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ের দোতলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা।
কর্মীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শতভাগ মেডিকেল ভাতা প্রদান, ক্যাজুয়ালদের চাকরি স্থায়ী করা, কাজ-আহার ভাতা বৃদ্ধি, পার্সোনাল পে বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করা, বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) কর্মীদেরও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সমান সুবিধা প্রদান। একইসঙ্গে কর্মীরা সরকারের ঘোষিত সময়েই মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে। বিমানের কর্মীদের দাবি অনুযায়ী, সরকারের ঘোষণার চার মাস পর বিমান মহার্ঘ্য ভাতা চালু করে। তাই পেছনের চার মাস ভাতা প্রদান করতে হবে।
বিমানের কর্মীরা গত বছরের জানুয়ারিতে ইউনিফর্ম ভাতা চালু, আহার ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করে। দাবি বাস্তবায়নে তারা কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটের মতো কঠোর আন্দোলনে যান। আন্দোলনকারীদের থামাতে তৎকালীন বিমানমন্ত্রী ফারুক খান ওই সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
ওই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি বিমানের পরিচালনা পর্ষদ সভায় এসব দাবি উত্থাপিত হলেও তা পাস হয়নি। বিমান সূত্রে জানা যায়, পর্ষদের একাধিক সদস্য এসব দাবি মেনে নিতে রাজি হলেও মূলত চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের কারণে তা হয়নি।
(ওএস/এএস/জুলাই ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test