E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে বৈষম্য কমাতে হবে’

২০১৭ ডিসেম্বর ০৬ ১৬:৩৭:৫১
‘টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে বৈষম্য কমাতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : সিপিডি বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে কমাতে হবে বৈষম্য। দেশ বা সমাজ অর্থের বৈষম্যে তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্পদেরও বৈষম্যে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো দূর করতে হলে আমাদের চিন্তার ও ধারণার পরিবর্তন আনতে হবে। বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিপিডি আয়োজিত ‘নাগরিক সম্মেলন ২০১৭ : বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রারম্ভিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কাউকে পেছনে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে না। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে বৈষম্যের শিকার সবাইকে উন্নয়নের অংশীদার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, তাদের তোমরা পিছিয়ে রাখতে পারবা না। বৈষম্য দূর করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো। এজন্য আমরা একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে। মেধা এখন শক্তির পরিচয় বহন করে। কিন্তু এর পাশাপাশি মানুষের ব্যর্থতাও কম নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে এখনো বঞ্চিত বহু মানুষ। আমরা দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা দেখে যেমন মুগ্ধ হয়, কিন্তু ভুলে যায় বহু মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে। সমাজ ও দেশে নিষ্ঠুরতা বেড়েছে, তার প্রমাণ রোহিঙ্গা নির্যাতন, ঘরে ঘরে নারী নির্যাতন।

মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিটি নাগরিক যেন তার নাগরিকত্ব বোধ থেকে মনে করেন, আমরা পেছনে পড়ে থাকবো না। সবাই আজ শপথ করবো, কেউ আমাদের পেছনে ফেলে রাখতে পারবে না।

সাবেক তত্ত্বাবধারক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, জাতীয় জবাবদিহিতার কাঠামো বিভাজিতভাবে দেখা যাবে না। আমরা এখনো গেইম অব নাম্বারস এর মধ্যে আছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা কি? বৈষম্য দূর করতে পারবো।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৭১ সালের সেই অতীত ছিল শোষণ ও বঞ্চনার অতীত। কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না এটা যেন আমাদের দেশে বাস্তবায়িত হয়। গড় থেকে বের হয়ে প্রান্তিকতা বিবেচনা করতে হবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সবার অংশগ্রহণ দরকার। এজন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে বেসরকারি খাতকে উপেক্ষা করা যাবে না। এসডিজি বাস্তবায়নে পাবলিক পার্টনারশিপ প্রয়োজন। সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, তথ্য উপাত্ত, তরুণ-তরুণীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মসংস্থান প্রয়োজন। বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমাতে হবে। সদ্য প্রয়াত আনিসুল হক দেখিয়ে গেছেন কিভাবে অল্প সময়ে কিছু স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, স্থানীয় সরকার ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সব কাজের ক্ষেত্রেই সুশীল সমাজকে যুক্ত করতে হবে। সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও সুশীল সমাজ একত্রিত হয়ে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। এক্ষেত্রে উদাহরণ আমার নারায়ণগঞ্জ।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ইউএনপডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ইয়াকো একোসাকা, সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/ ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test