E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ৪০ জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

২০১৪ জুলাই ০৪ ১৮:১১:০১
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ৪০ জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেদের ট্রলারে দু-দফা হানা দিয়ে একটি ট্রলারসহ ৪০ জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা।

পুলিশ বাহিনীর পরিচয়ে নতুন এ দস্যু বাহিনী প্রত্যেক জেলের মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা করে দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের ট্যাকদিয়া ও লালদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ী ও শরণখোলা মৎস্য সমিতির নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন শুক্রবার দুপুরে জেলেদের রবাত দিয়ে জানান, সাগরের ট্যাকদিয়া ও লালদিয়া এলাকায় পাথরঘাটা, মহিপুর ও শরণখোলার প্রায় অর্ধশত ট্রলার ইলিশ আহরণে নিয়োজিত ছিল।

এ সময় ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দস্যু দল ট্রলারযোগে এসে বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ট্যাকদিয়া ও লালদিয়ার চর এলাকায় মাছধরা ট্রলারে হানা দিয়ে ৪০ জেলেকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে দস্যুরা মহাজনদের কাছে মোবাইল ফোনে নিজেদেরকে পুলিশ বাহিনী হিসেবে পরিচয় দেয়।

ওই মৎস্যজীবী নেতা আরও জানান, দস্যুরা পাথরঘাটার নজরুল ইসলাম নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর এফবি মনিরা ট্রলারসহ ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করেছে। এদের মধ্যে ট্রলারের মাঝি ইউসুফ মিয়ার নাম জানা গেছে।

এছাড়া শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী সুজন হাওলাদারের এফবি রিজিয়া ট্রলারের মাঝি কবির হোসেন ও সহকারী মাঝি এনামুলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত অন্য জেলেদের নাম পরিচয় জানতে পারেননি তারা। দস্যুরা সুজন হাওলাদারের কাছে পুলিশ বাহিনী পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে তার দুই জেলের মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ জোন পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলে অপহরণের বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test