E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার বিধান নেই : আইনমন্ত্রী

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৭:১৪:৫২
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার বিধান নেই : আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে, এমন কোনো বিধান নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেছেন, নতুন প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক হবে না।

রবিবার রাজধানীর গুলশানে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের আড়াই মাসেরও বেশি সময় পর ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

একই দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব পালন করে আসা আবদুল ওয়াহহাব মিঞা পদত্যাগ করেন।

আপিল বিভাগে ওয়াহহাব মিয়া ছিলেন জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি। মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠতার ক্রম তালিকায় ছিলেন এর পরেই।

ওয়াহহাব মিয়া ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। আর মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন একই সরকারের আমলে ২০০১ সালের শুরুর দিকে। ওয়াহহাব মিয়ার চাকরির মেয়াদ ছিল আর ১০ মাসের মতো, কিন্তু মাহমুদ হোসেনের মেয়াদ আছে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মাহমুদ হোসেনের নিয়োগের পরই জ্যেষ্ঠতার লংঘন নিয়ে কথা উঠে। তবে আইনমন্ত্রী বলছেন, জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন বলতে কিছু নেই।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার ঘোর আপত্তি এই কথায় যে, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। আপনারা যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান দেখেন, তাহলে ৯৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। সেখানে কোথাও লেখা নাই যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি নিয়োগ দেবেন।’

ওয়াহহাব মিঞার পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি পদত্যাগ করতে পারেন, তার সেই পদত্যাগ করার অভিপ্রায় তিনি ব্যক্ত করেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সেখানে আমার কিছু বলার নাই।’

সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পর ওয়াহহাব মিঞার পদত্যাগে আপিলবিভাগে বিচারপতি স্বল্পতার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা শিগগিরিই দেখবেন, হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে ‘সরকারের কব্জায়’ থাকায় দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে সঠিক রায় দেয়ার ক্ষমতা নেই বলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাব আগে, ‘উনি যে কথা বলেছেন সেটা অসত্য। ...আমি দুঃখিত যে উনি এ কথাটা বলেছেন, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ অসত্য।’

‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, বিচার হয়েছে আদালতে, সাক্ষ্যপ্রমাণ হয়েছে এবং সেই সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ ও বিবেচনায় নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক তার রায় দেবেন।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test