E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রশ্ন ফাঁসের ছয়টি কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৭:৩৮:৫৯
প্রশ্ন ফাঁসের ছয়টি কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আপলোডকারীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোকেও শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে ধরেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা ও চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপত্বিতে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডাক ও টেলিযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইসিটি সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দফতর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত রয়েছেন।

এ সংক্রান্ত করণীয় ও প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সর্বোপরি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণকে কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিজি প্রেস প্রশ্ন কম্পোজ এডিট, প্রিন্ট ও প্যাকেজিং পর্যায়ে প্রায় ২৫০ ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রায়েছে। তারা প্রশ্নপত্র কপি করতে না পারলেও তা স্মৃতিতে ধারণ করা সম্ভব। এভাবেও প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা-মন্ত্রণালয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত কেন্দ্রের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে। তাছাড়া ভেন্যুগুলো থেকে মূল কেন্দ্রগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। ফলে ৩০ মিনিটের আগে কেন্দ্র সচিব প্রশ্ন খুলতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখান থেকেও প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে।

বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। গুটি কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে মূল প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা তৎপরতা আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এটা পরীক্ষার শুরুর ১৫ দিন আগে থেকেই শুরু করা হলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

গোয়েন্দা বাহিনীর লোকবল ও অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কারণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নজরদারী করা সম্ভব হচ্ছে না। দুষ্কৃতিকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার ও শস্তির আওতায় আনতে না পারায় অন্যরাও অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিটিআরসি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আপলোডকারীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোও শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সভায় কার্যপত্রে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা সম্ভব সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে।

উল্লেখ, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে চলমান এসএসসি পরীক্ষা। এরপর ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test