E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য

২০১৮ মার্চ ০১ ১৩:৪৮:২০
বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সফরে তিনি এমন বার্তাই দিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ব্রিটিশ ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজের এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ঢাকায় দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা বণর্না করে এলিসন ব্লেক বলেন, বেশ দ্রুতগতিতে কাজের মধ্যেই সময় কেটেছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়েছে যা দুই দেশের ভবিষ্যতে গতি এনেছে। সেইসঙ্গে জঙ্গিবাদ, যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়াসহ কিছু খারাপ ঘটনাও রয়েছে। তবে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনো ঠিক আগের স্থানেই রয়েছে।

তিনি জানান, এপ্রিলে লন্ডলে কমনওয়েলথের সম্মেলন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। যেহেতু যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ফলে কমনওয়েলথ একটি ভালো ক্ষেত্র হতে পারে, যার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ঐতিহাসিক বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে আবারও যুক্ত হতে পারে। এবারের সম্মেলনে কানেকটিভিটি, শিক্ষা, বাণিজ্য, সমুদ্র, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র দূরীকরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। মূলত এবারের সম্মেলনে সবাই নিজ নিজ দেশকে সমৃদ্ধ করতেই কাজ করবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে তিনি বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মূলত দুটি কারণে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে যারা উন্নয়নশীল। মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে। আমরা বাংলাদেশের এ যাত্রার অংশিদার হতে চাই। আমাদের একে অপরকে দেয়ার মতো অনেক প্রস্তাবনা রয়েছে। তিনি এখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে এসেছিলেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বৈঠকে দিয়ে গেছেন বলে জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য যেটি খুব শক্ত ভাবেই বিশ্বাস করি যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু, ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বড় একটি বিষয়। আর এটাই একটি দেশের সম্ভাব্য সেরা উপায়। যার মধ্যে দেশের ভবিষ্যত, সমৃদ্ধি, স্থীতিশীলতা নিশ্চিত হয়। সেই সঙ্গে এমন একটি সমাজ তৈরি করে যেখানে সবাই নিজেকে অংশীদার মনে করবে, সেই সঙ্গে সবার কথা বলার অধিকার থাকবে। আর এর মাধ্যমে সমাজ শক্তিশালি ও জবাবদিহিতা তৈরি হয়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের দ্বিতীয় কারণ নিয়ে এলিসন ব্লেক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অনেক বছর ধরেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি। ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর হঠাৎ করে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত বাংলাদেশের দিকে এসেছে, তা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর দায়িত্ব নিতে হবে। এ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সমাধান এই যে মিয়ানমারে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে এ মানুষগুলো ঘরে ফিরে যেতে পারে। যাতে ফিরে যেতে পারে নিরাপত্তা, সন্মানের পাশাপাশি জীবিকা ও অধিকারের সাথে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে অং সাং সুচি ও সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বার্তাই নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কৌশলগত সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর দুই দেশ কৌশলগত সংলাপ করেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে জটিল বিষয়গুলো সমাধানে আলোচনা হয়েছে। আর কৌশলগত সংলাপের একটি ফল হচ্ছে যুক্তরাজ্যে কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। বাংলাদেশ এ সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বেশ এগিয়ে গেছে। অনেকে এটিকে রাজনৈতিক কারণে নিষেধাজ্ঞা ভাবলেও এটি রাজনৈতিক কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test