E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুইক রেন্টালে গড়ে উঠছে আলোকিত দেশ : শিল্পমন্ত্রী

২০১৮ মার্চ ০১ ১৮:০৮:২৮
কুইক রেন্টালে গড়ে উঠছে আলোকিত দেশ : শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : কুইক রেন্টালের সূচনার সময় অনেকে সমালোচনা করলেও এ উদ্যোগের ফলে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, দেশে একসময় দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও এখন তা প্রায় শূন্যের কোঠায়। সরকার গৃহীত উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘৯ম আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ইনফ্রাসট্রাকচার ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এক্সপো অ্যান্ড ডায়ালগ-২০১৮’ এর উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা জানান।

বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন ‘টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’, পাওয়ার সেল এবং বেসরকারি আয়োজক সংস্থা এক্সপোনেট এক্সিবিশন (প্রা.) লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রদর্শনী ও সংলাপের আয়োজন করে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জিরো পলিউশন ও জিরো এক্সিডেন্ট নীতিরভিত্তিতে সরকার শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। শিল্প কারখানার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎচাহিদা পূরণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নতুন নতুন বিদ্যুকেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অনেক আন্দোলন হলেও সাফল্যের সঙ্গে এ প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ, জীববৈচিত্র ও জননিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আমির হোসেন আমু বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এদেশের ওষুধ, পাদুকা, সিরামিক, প্লাস্টিক, জাহাজ নির্মাণসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলো বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ বিশ্বের ১৫১টি দেশে রফতানি হচ্ছে। পাদুকা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম স্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ভারত ও পাকিস্তানে রফতানি হচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন কৌশল সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ.খান, এক্সপোনেট এক্সিবিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল হক বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ উদ্যোগ সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে। বর্তমানে জিডিপিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিদ্যুৎ খাতের অবদান ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সবুজ পণ্য উৎপাদনের প্রয়াস জোরদার করবে।

উল্লেখ্য, চারদিনব্যাপী আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ ও জ্বালানি প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে বিশ্বের সাতটি দেশের ৬২টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্টলে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণ, যন্ত্রপাতি, জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিন কারিগরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ দেশ-বিদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও নির্মাণ শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনা প্রবেশমূল্যে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test