E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় দুই হাজার শিক্ষার্থী

২০১৮ মার্চ ০২ ১৫:৪৯:১৫
মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় দুই হাজার শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার : গণনার দক্ষতা বাড়াতে জাতীয় পর্যায়ে মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে আলোহা বাংলাদেশ। একাদশ জাতীয় পর্যায়ের এ মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৬শ’ স্কুল থেকে ১৯শ’ ৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরা আলোহার ৩ জন শিক্ষার্থীও এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আলোহা বাংলাদেশ।

আয়োজকরা জানান, শিশুরা কত দ্রুত ও নির্ভুলভাবে গণনার সমাধানে পৌঁছতে পারে এটা পরীক্ষার উদ্দেশেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয়। এতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্ভুল গাণিতিক সমাধান করেছে।

শিক্ষার্থীদের স্তর ভাগ করে বিভিন্ন পর্বে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার বিতরণী পর্ব। সেখানেও নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সামনে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করবে। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে আলোহার শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক দল কাদামাটি।

৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক’ মালয়েশিয়া থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে নিয়ে আসে আলোহা বাংলাদেশ। এ কর্মসূচি শিশুদের একাগ্রতা, আত্মবিশ্বাস, নিখুঁত পর্যবেক্ষণ, শোনার দক্ষতা, স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আয়োজকরা জানান, এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের খেলার ছলে গণিত শিখতে, সৃষ্টিশীল লেখনী শক্তি বৃদ্ধি এবং সামাজিক বিজ্ঞান, ইংরেজি, বাংলাসহ অন্যান্য বিষয়ে শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ভিকারুননিসা স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাবিহা আক্তার। বাবা রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে এসেছে সাবিহা। সে বলে, ‘তিন শিফটে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১ম পর্বে অংশ নিয়েছিলাম খুবই মজার প্রতিযোগিতা এটি। ৭০টির মধ্যে ৫৫টির উত্তর দিতে পেরেছি। তবে অংশগ্রহণ করতে পেরেই খুব ভালো লেগেছে।’

মতিঝিল বয়েজ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হানুল হককে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাতে এনেছেন বাবা ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে এমন প্রতিযোগিতা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। যে কারণে ছেলেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করিয়েছি। পরীক্ষা ভালো-খারাপ হওয়ার চেয়ে অংশগ্রহণই বড় বিষয়।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করছে আলোহা বাংলাদেশ। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের প্রায় ৬শ’ স্কুল এখন পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে। আলোহা আইএসও সনদপ্রাপ্ত লার্নিং সিস্টেম। যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশের ৫০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে কাজ করছে। দ্রুতগতিতে বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে এ কর্মসূচি। সম্প্রতি জাপানের এক মেডিকেল রিসার্চ দলের গবেষণায় বলা হয়, অ্যাবাকাস শিক্ষাব্যবস্থা শিশুদের মস্তিষ্কের উন্নয়নে সহায়তা করে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test