E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কোটা বাতিল বা কমানো হবে না : জনপ্রশাসন সচিব

২০১৮ মার্চ ০৮ ১৬:৫৬:৩৩
কোটা বাতিল বা কমানো হবে না : জনপ্রশাসন সচিব

স্টাফ রিপোর্টার : কোটার শূন্যপদ সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করার সিদ্ধান্ত এলেও কোটা বাতিল বা কমানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশীদের একাংশের আন্দোলন চলার মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কোটায় পর্যাপ্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘এখন থেকে কোন শ্রেণির মেধা কোটা পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধা কোটা থেকে পূরণ করা হবে। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধো বা অন্য কোন কোটাকে ছোট করা হচ্ছে না। এসব কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে সেখানে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধা কোটা থেকে নেয়া হবে।’

আন্দোলনকারীরা কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দেন সচিব। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মূল শ্রেণির কোটাভুক্ত পদ পূরণ করা না গেলে শুধুমাত্র এ ব্যবস্থার (মেধা তালিকা থেকে পূরণ) কথা বলা হয়েছে।’

‘সরকারের চিন্তা কোটা বহাল থাকবে। তবে মেধাবীরা যাতে বঞ্চিত না হয় এজন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বর্তমানে দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন ১০ শতাংশ, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ, নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা রয়েছে।

তবে কোটায় পর্যাপ্ত যোগ্য পরীক্ষার্থী পাওয়া যায় না বলে প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষাতেই বেশ কিছু পদ শূন্য রয়ে যায়। এতদিন এসব শূন্য পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হতো ন।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসতে কোটার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর সব দেশেই এই পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হয়। বরং সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিতেও কোটা রয়েছে বহু দেশে।

আন্দোলনকারীরা কোটাকে বৈষম্যমূলক দাবি করে আসলেও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা একে ইতিবাচক বৈষম্য হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসক সচিব জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা হয়নি।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০। তবে এটিকে ৩৫ করার দাবিতে বেশ কিছু বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test