E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘কৌশলগত কারণেই কখনও পশ্চাদপসরণ’

২০১৮ মার্চ ১১ ১৬:৫৫:৩২
‘কৌশলগত কারণেই কখনও পশ্চাদপসরণ’

স্টাফ রিপোর্টার : ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা এসেছে’- এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বি-মত পোষণ না করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘যুদ্ধে পশ্চাদপসরণ করা যেমন যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল, কখনও কখনও দুর্নীতপরায়ণদের গতিবিধি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কমিশনকেও কখনও কখনও কৌশলগত কারণেই পশ্চাদপসরণ করতে হয়। এটি কৌশল মাত্র। আর কিছুই নয়।’

জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক অফিসের প্রতিনিধি সার্জে ক্যাপিনোজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার সকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ে আসেন। তারা দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দেশের দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও উত্তম চর্চার বিকাশসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে এ সময় বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ওভারসাইট মেকানিজম থাকা উচিত। দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিংয়ের জন্য একটি কার্যকর ফ্রেমওয়ার্ক থাকতে পারে।

তিনি বলেন, যদিও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিটি কার্যক্রমই আইনানুগ প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে এবং পাশাপাশি কমিশনের সব কার্যক্রম বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়। ওই বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনায় আইনি সুযোগও রয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সোনালি ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতি করে যারা অর্থ-বিত্তের মালিক হচ্ছেন বা হয়েছেন প্রত্যেককেই আজ অথবা কাল আইনের আওতায় আসতে হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যা ক্রমাগত চলতে থাকবে।’

উত্তম চর্চার বিকাশে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সততা সংঘ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সততা স্টোরসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যাখ্যা করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দেশের সিভিল সার্ভিস, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে মূল্যবোধসম্পন্ন প্রতিনিধি সৃষ্টির জন্যই কমিশন এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

‘টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সুশাসন, জবাবদিহিমূলক আমলাতন্ত্র, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং দুর্নীতিপরায়ণদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই’- যোগ করেন দুদক প্রধান।

সার্জে ক্যাপিনোজ তার বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতি পৃথিবীর সর্বত্রই রয়েছে তবে পার্থক্য রয়েছে এর তীব্রতা এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, সততা সংঘ বা সততা স্টোরের কার্যক্রম সত্যিই উত্তম। তবে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, পরিবার ও পদ্ধতিই বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) অফিস স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থার বিষয়টি বেগবানের জন্য এদেশে কান্ট্রি অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত রাখতে সরকার, সুশীল সমাজ এবং দুদকসহ সবাইকে সম্মিলিত ও অংশগ্রহণমূলকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. জাফর ইকবাল।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test