E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

২০১৮ মার্চ ২১ ১৬:৪৯:৪৬
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য যে ৩০ শতাংশ কোটা আছে, তা বহাল থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ, তিতীক্ষার জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, উন্নত হচ্ছে। মানুষ চাকরি পাচ্ছে, তাদের জীবন পাল্টাচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগের কারণেই আজকের স্বাধীনতা, উন্নয়ন-এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্যই তাদের সন্তান আর নাতিপুতির জন্য চাকরিতে কোটা রয়েছে।

কোটায় যদি না পাওয়া যায়, তাহলে শূন্য পদে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে কোটার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রয়েছে। এর বাইরে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা রয়েছে।

৯০ দশক থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের শেষ বছরে এই কোটা নিয়ে একটি পক্ষ মাঠে নামে। তারা মূলত মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

তবে গত কয়েক মাস ধরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা এসেছে। তারা আগের মতো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটা বাতিলের দাবি না তুলে কোটা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। তাদের দাবি, কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসতে হবে।

চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ হবে বলে সিদ্ধান্ত জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরও চাকরি প্রার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এতদিন প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেননি। তবে আজকে তিনি তার অবস্থান জানিয়ে দিলেন।

চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৮টি প্রকল্প উদ্বোধন করে গেলাম। আরও কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। আরও কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই উন্নয়নগুলো আপনাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগবে। কক্সবাজার পর্যন্ত চার লেন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আমরা উড়াল সেতু করে দিচ্ছি। কর্ণফুলি তৃতীয় সেতু করে দিচ্ছি।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test