E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিথর দেহে বিমানেই ফিরলেন তারা

২০১৮ মার্চ ২২ ১৭:৫৪:৩৭
নিথর দেহে বিমানেই ফিরলেন তারা

স্টাফ রিপোর্টার : নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় শেষ তিন বাংলাদেশির নিথর দেহ দেশে আনা হয়েছে। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০৭২ ফ্লাইটে মরদেহ তিনটি ঢাকায় আনা হয়। পরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাংগার গেটে ডেথ সার্টিফিকেটসহ মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নজরুল ইসলামের মরদেহ রাজশাহী, পিয়াস রায়কে বরিশাল এবং আলিফুজ্জামানকে খুলনায় দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরে লাশবাহী তিনটি অ্যাম্বুলেন্স নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।

এর আগে, গত সোমবার বিমান বাহিনীর একটি কার্গো বিমানে করে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের মরদেহ দেশে আনা হয়। তারা হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

ওই সময় নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় সেগুলো দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস গতকাল বুধবার জানান, নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ শনাক্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর তাদের লাশ দেশে ফেরত পাঠাতে কোনো বাধা নেই।

‘এ ব্যাপারে ইউএস-বাংলার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা মরদেহগুলো দেশে নেয়ার বিষয়ে কাজ করছে’- বলেন তিনি।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আহত সাত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়। বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাঠানো হয়।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test