E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিমান বিধ্বস্ত 

বিকেলে বীমা দাবির টাকা পাচ্ছে সেনা কল্যাণ

২০১৮ এপ্রিল ০১ ১৫:০৮:৩১
বিকেলে বীমা দাবির টাকা পাচ্ছে সেনা কল্যাণ

স্টাফ রিপোর্টার : নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আজ সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সকে বীমা দাবির অংশ হিসেবে ৭ লাখ মার্কিন ডলার দেবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। ইউএস বাংলার বীমা করা ছিল সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে। আর সেনা কল্যাণ পুনঃবীমা করেছিল সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে। তারই আওতায় আজ বীমা দাবির অংশ পরিশোধ করছে সাধারণ বীমা।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বিষয়টি জানিয়েছেন।

এরআগে ২৪ মার্চ শাহরিয়ার আহসান জানিয়েছিলেন, ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ক্ষতিপূরণ বাবদ কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ ৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার বীমা দাবি পাবে। প্রতি ডলার ৮৩ টাকা হিসাবে এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

গত ১২ মার্চ ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন। আহত উদ্ধার করা হয় ২০ জনকে।

এ এয়ারলাইন্স কোম্পানিটির বীমা করা রয়েছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে। আর সেনা কল্যাণ পুনঃবীমা করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে। ফলে ক্ষতিপূরণের একটি অংশ দিতে হবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনকে।

নিহতদের বীমা দাবির বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ২ লাখ ইউএস ডলার বীমা করা। তবে যাত্রীরা এ পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন না। নিহতের পরিবার বা আহতরা বীমা দাবি বাবদ কত টাকা পাবেন তা তাদের বয়স, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদাসহ আর কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। তবে এটা নিশ্চিত নিহতের পরিবার ও আহতরা সমান ক্ষতিপূরণ পাবেন না।

ইউএস-বাংলার ওয়েবসাইটে দেয়া টিকিটের টার্ম ও কন্ডিশনে উল্লেখ আছে, যাত্রীদের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ১৯২৯ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ওয়ারশ কনভেনশন অথবা ১৯৫৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হেগে ওই কনভেশনটির যে সংশোধন আনা হয়- এর যে কোনটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ ওয়ারশ কনভেনশনের সংশোধনী অনুসারে বিমান যাত্রীদের সর্বোচ্চ ১ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যে শর্ত রাখা হয়েছে তা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ যাত্রীদের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামিম বলেছিলেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে সার্ভেয়ার কাজ করছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুর্ঘটনা কবলিত বিএস ২১১ ফ্লাইটের যে ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ নেয়া হয়েছে, তার মোট লায়াবিলিটি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে প্লেনের জন্য কাভারেজ ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সার্ভে রিপোর্ট পাওয়ার পর ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। যত দ্রুত সম্ভব সে অনুসারে বীমা দাবি পরিশোধ করা হবে। আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই দাবি পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test