E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিমান বিধ্বস্ত 

পুনঃবীমার ৭ লাখ ডলার দিল এসবিসি

২০১৮ এপ্রিল ০১ ১৭:৪২:২০
পুনঃবীমার ৭ লাখ ডলার দিল এসবিসি

স্টাফ রিপোর্টার : নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সকে বীমা দাবির অংশ হিসেবে সাত লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (এসবিসি)। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই অর্থ ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেবে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স।

ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের বীমা করা ছিল সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে। যার মোট লায়াবিলিটি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্লেনের জন্য কাভারেজ সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এই লায়াবিলিটির ১০ শতাংশ নিজেদের কাছে রেখে বাকি অংশ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে পুনঃবীমা করে। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন তার থেকে ১০ শতাংশ রেখে বাকি টাকা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে পুনঃবীমা করে।

নিজেদের কাছে রাখা পুনঃবীমার ১০ শতাংশের অর্থই পরিশোধ করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। এ লক্ষ্যে রোববার সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামিমের হাতে পুনঃবীমা দাবির চেক তুলে দেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।

এ সময় শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এই উড়োজাহাজের (হাল) যে বীমা করা ছিল তার পরিমাণ ৭০ লাখ ডলার। এর সম্পূর্ণ অংশ ক্ষতি হয়েছে। ১২ মার্চ দুর্ঘটনার পর মাত্র এক মাসের কম সময়ের মধ্যে আমরা বীমা দাবির টাকা দিয়ে দিলাম।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই বিমান বিধ্বস্ততের ঘটনায় বিদেশি পুনঃবীমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া ৪১ লাখ ৭২ হাজার ডলার ইউএস-বাংলাকে সরাসরি দেয়া হয়েছে। আজ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের অংশের সম্পূর্ণ অংশ অর্থাৎ সাত লাখ ডলার সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সকে দেয়া হলো। এ নিয়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ ইউএস-বাংলাকে দেয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়ালো ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার।

বিদেশি পুনঃবীমা কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া অর্থ সরাসরি ইউএস-বাংলাকে দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সময় যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য আমরা বিদেশি পুনঃবীমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ সরাসরি ইউএস-বাংলাকে দিয়েছি। এ দুর্ঘটনায় ইউএস-বাংলা বাকি যে অর্থ পাবে তা শিগগিরই আমরা যেকোনোভাবে ম্যানেজ করে পরিশোধ করে দেবো।

এ সময় সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামিম বলেন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন থেকে পাওয়া অর্থ এবং আমাদের অংশের সাত লাখ ডলার দুই-তিন দিনের মধ্যে ইউএস-বাংলাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

নিহত এবং অহতরা সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেতে পারে জানতে চাইলে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, নিহত ও আহতদের বয়স, সামাজিক মর্যাদা, আর্থিক অবস্থাসহ আরও কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ হবে। এটি সার্ভে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। তবে নিহত ও আহতরা সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেতে পারে সে বিষয়ে আমরা এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ মার্চ ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন। আহত উদ্ধার করা হয় ২০ জনকে।

ইউএস-বাংলার ওয়েবসাইটে দেয়া টিকিটের টার্ম ও কন্ডিশনে উল্লেখ আছে, যাত্রীদের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ১৯২৯ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ওয়ারশ কনভেনশন অথবা ১৯৫৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হেগে ওই কনভেশনটির যে সংশোধন আনা হয়- এর যেকোনোটি কার্যকর হবে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test