E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলা ভাগ হলেও রবীন্দ্র-নজরুল দুই বাংলার : প্রধানমন্ত্রী

২০১৮ মে ২৬ ১৭:০০:৪৯
বাংলা ভাগ হলেও রবীন্দ্র-নজরুল দুই বাংলার : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : কাজী নজরুল ইসলাম সবসময় বাংলাদেশের মানুষের চেতনায় জাগ্রত। বাংলাদেশের মানুষের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা। বাংলা ভাগ হতে পারে, কিন্তু রবীন্দ্র-নজরুল ভাগ হননি।

শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমানের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি.লিট) প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়।

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিগ্রি গ্রহণের পর বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তাকে দেয়া এ সম্মান বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিরাট সম্মানের, প্রতিটি বাঙালির সম্মান বলে মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলা ভাগ হতে পারে, কিন্তু রবীন্দ্র-নজরুলের কোনো ভাগ হয় না। এ সম্মান আমি প্রত্যেক বাঙালিকে উৎসর্গ করছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, কবি নজরুল ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তার বাণী ছিল মানবতার। কাজেই তার মানবতার বানী প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হয়েছে লেখনীর মাধ্যমে।

তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে সম্মান অনেক বড় পাওয়া। একই সঙ্গে কাজী নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তীকেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থী-গবেষককে স্বর্ণপদক দেয়া হয়। ৪৪০ জনের হাতে তুলে দেয়া হয় প্রশংসাপত্র।

সম্মান গ্রহণ করে দৃশ্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্যের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ঝরে পড়ে আবেগ। শেখ হাসিনা জানান, বিশ্বের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাকে বিভিন্ন সময়ে সম্মান প্রদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। সময়ের অভাবে সবসময় সব জায়গায় গিয়ে তিনি উপস্থিত হতে পারেন না। কিন্তু কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দ্বিতীয়বার ভাবেননি।

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেইসময় খাবার ভাগ করে খেয়েছিল ভারতবাসী। আগামী দিনেও উপমহাদেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন হাসিনা।

(ওএস/এসপি/মে ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test