E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাসের সুপারিশ

২০১৮ জুন ০৬ ১৬:১০:৪৬
সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাসের সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনীর বিল পাসের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের বিধান আরও ২৫ বছর বহাল রাখতে সংসদে আনা হয়েছে। এরপর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কমিটি বুধবার সংসদে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর পক্ষে কমিটির সদস্য শামসুল হক টুকু এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

এর আগে ১০ এপ্রিল সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী আনতে একটি বিল সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ করা হয়। তবে ওই সময় মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।

সংবিধান অনুযায়ী ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সংবিধানের ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে শুরু করে ১০ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন কেবল মহিলা-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে।’

২০০৪ সালে তদানীন্তন অষ্টম জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে নারী সদস্যের জন্য সংরক্ষণ করা ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়। তখন এর মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ, নবম সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে দশ বছর।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসাবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ আছে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফলে সংশোধনীটি না হলে নতুন সংসদ এলে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচন করা যাবে না।

সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগে। সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাতে আছে ২৩২টি আসন।

সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধন হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই সংশোধনে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। পরে সর্বোচ্চ আদালত ওই সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। ওই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করে সরকার।

(ওএস/এসপি/জুন ০৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test