E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন : জিম ইয়ং

২০১৮ জুলাই ০১ ১৪:২৪:০৭
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন : জিম ইয়ং

স্টাফ রিপোর্টার : রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, ‘এ পরিস্থিতির জন্য আমরা (বিশ্বব্যাংক গ্রুপ) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণ হয় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আমরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি জন্য একটা সহায়তা তহবিল গঠনের জন্য কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাব। রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ৪০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি। এটা পুরোটাই অনুদান হিসাবে বিবেচ্য হবে।’

রবিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ ভিডিও বার্তায় বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একক দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাংক এবার বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে। এ বছর বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংক তিন বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা) ঋণ দেবে।’

‘আমরা বাংলাদেশের জন্য কখনও এমন পরিস্থিতি (রোহিঙ্গা সংকট) আশা করিনি। বরং বাংলাদেশের জন্য আমরা সবসময় উন্নয়ন পরিস্থিতি আশা করছি। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি হচ্ছে একটা মানবিক বিপর্যয়। রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক যে সহায়তা দিচ্ছে সেটা অতি সামান্য। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আমাদের সকলের কাজ করা প্রয়োজন। আমি আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের মানুষ এত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করেছে।’

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের দেশ ও জাতির জন্য একটি জটিল জাতীয় সমস্যা। এটা আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা। এ জটিলতা নিরসনে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। এটা আমাদের একার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘এমন একটা সংকটময় মুহূর্তে বিশ্বব্যাংককে পাশে পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। রোহিঙ্গাদের মতো এত বড় বোঝা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে, বিশ্বের অন্য কোনো তা গ্রহণ করবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে ফেরত পাঠাতে চায়। এজন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্মরণাপন্ন হয়েছি। কারণ এটা আমাদের জন অনেক বড় বোঝা। তারই অংশ হিসেবে আজ আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের মহাসচিবকে কাছে পেয়েছি।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test