E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাড্ডায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু’জন ফরহাদ হত্যার সন্দেহভাজন

২০১৮ জুলাই ০৫ ১৫:০১:৪০
বাড্ডায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু’জন ফরহাদ হত্যার সন্দেহভাজন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডায় ডিবি পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু’জন আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন হত্যায় সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- নুরুল ইসলাম ওরফে কিলার সানি (২৮) ও অমিত ওরফে কিলার দাদা (৩৫)।

গত ১৫ জুন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ১ নম্বর লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসা বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনকে হত্যায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু‘জনই ফরহাদ হত্যার সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজে ফরহাদ হত্যার পর দু’জনকে অস্ত্র হাতে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই লাল গেঞ্জি পরিহিত যুবকটি ছিল সানি। অন্য যুবক অমিত ভারতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী আশিক ও আমেরিকায় পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী মেহেদীর সহযোগী বলে তথ্য মিলেছে।

মশিউর রহমান আরও বলেন, বাড্ডা এলাকার লেগুনা, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ এবং গরুর হাটে চাঁদাবাজির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে ফরহাদ হোসেনকে হত্যা করা হয়। একাধিক গ্রুপ সেদিন অস্ত্রসহ ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল। অস্ত্রধারী শুটার ছিল ছয়জন। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কেউ কেউ ঢাকা বা দেশের বাইরেও চলে গিয়েছিল।

ডিবি উত্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, বাড্ডার সাঁতারকুলে প্রজাপতি গার্ডেনের পাশে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে যাদের মধ্যে ফরহাদ হত্যার সন্দেহভাজন রয়েছে মর্মে খবর পাওয়ার পর রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায়। সন্ত্রাসীরা বের হওয়ার সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি পর নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

গুলিবিদ্ধ সানি ও অমিতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test