E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী 

২০১৮ জুলাই ১৮ ১৭:১০:৩২
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী 

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থলের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০১৮ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা-২০১৮ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বনের দস্যুতা দূর করতে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের পুনর্বাসন এবং সেখানে বসবাসকারীদের জীবন-জীবিকার জন্য সহ-ব্যবস্থাপনা ও বিকল্প আয়েরও ব্যবস্থা করেছে।

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং রয়েলে বেঙ্গল টাইগারের ব্রিডিং পয়েন্ট উন্নত করা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার যাতে সুরক্ষিত হয় সে জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে সরকারে এসেই ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করি। এ চুক্তির পর গড়াই নদী খননের কাজ শুরু হয়। কারণ গড়াই নদীর হোগলা বন এলাকাটিই বাঘের ব্রিডিং পয়েন্ট। গড়াই, সালনাসহ সুন্দরবনের নদীগুলো খননের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মিঠা পানির স্রোত যত বেশি হবে জলের লবনাক্ততা ততই কমে আসবে। সেজন্যই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ’৭৫ এর পরে ক্ষমতায় এসেছিল তাদের কাছে চিংড়ি চাষ করে পয়সা বানানোই সব থেকে বড় ছিল। কিন্তু পরিবেশ বিনষ্ট হবে, জীব বৈচিত্র্যের সমস্যা হবে সেটা তারা কোনদিনও ভাবেনি। তাদের এ ব্যাপারে কোনো সচেতনতা ছিল বলেও মনে হয় না। তবে বর্তমান সরকার নদী এবং খাল পুনঃখনন করে নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, একে একে প্রায় সব খালের মুখ খুলে দেয়া হয়েছে। ঘাসিয়ার খাল পুনর্খনন করে সেখান দিয়েই জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তাতে জাহাজ চলাচলের সময়ও বেঁচে যাচ্ছে। তা না হলে জাহাজগুলোকে অতিরিক্ত ১৪-১৫ কিলোমিটার ঘুরে সালনা নদী দিয়ে আসতে হত। এখন খুব সহজেই জাহাজগুলো মংলা বন্দরে চলে আসতে পারছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন পাটের পলিমার থেকে যেটা পচনশীল সেই ধরনের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। আমরা এটার নাম দিয়েছি সোনালী ব্যাগ। এ সোনালী ব্যাগ পরিবেশ দূষণ করবে না। এ ছাড়া পাটের ছোট ছোট থলে, ব্যাগ এগুলোও ব্যবহার করা যায়। এমনকি ফ্যাশনের জন্যও ব্যবহার করা যায়। আমি যে ব্যাগটা ব্যবহার করছি সেটা কিন্তু পাটের তৈরি। পাটকে তার সোনালী দিনে ফিরিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন নিয়েছি, সেই সঙ্গে পাটের ওপর গবেষণা চলছে।

দেশের সব মানুষকে বৃক্ষরোপন অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ একান্তভাবে প্রয়োজন। কাজেই সবাইকে আহ্বান জানাই যে, প্রত্যেকে একটা বনজ, একটা ফলজ ও একটা ঔষধি গাছ রোপণ করুন।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ মহসিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ পদক ২০১৮ এর জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি, সংস্থা এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন-২০১৮, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৭ ও সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক প্রাপ্তদের মাঝে পদক ও চেক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test