E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্বাচ্ছন্দ্যেই ঘরে ফিরছেন মানুষ

২০১৮ আগস্ট ১৮ ০০:৩৪:৫১
স্বাচ্ছন্দ্যেই ঘরে ফিরছেন মানুষ

ঢাকা: ঈদ এলেই বিভিন্ন যানবাহনে মানুষের অত্যাধিক চাপে চিলেচেপ্টা হয়ে রাজধানী ত্যাগের আহরহ দৃশ্য চোখে পড়ে। ইদুল আজহা সামনে রেখে বাস বা ট্রেনে এমন অবস্থা আরম্ভের কিছুটা চিত্র দেখা গেলেও এখনো তুলনামূলক স্বস্তিতেই লঞ্চযোগে ঢাকা ছাড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বিকেল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশের অন্যতম প্রধান নদী বন্দর ঢাকার সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে ভিড় জমাতে থাকেন যাত্রীরা।

এরপর যাদের অগ্রিম টিকিট বুক করা ছিল তারা নিজ নিজ গন্তব্যের জন্য নির্দিষ্ট করা টার্মিনালে অবস্থান নেওয়া লঞ্চগুলোতে নোঙ্গর করেন। কিন্তু যারা আগেভাগে যাত্রার টিকিট নিশ্চিত করতে পারেননি তারা এসেই এক লঞ্চ থেকে অন্য লঞ্চে ছুটেছেন কেবিন পাওয়ার আশায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দিগুণ টাকার বিনিময়ে লঞ্চ কর্মচারীদের কাছ থেকে কেবিন পেয়েছেন আবার কখনো না পেয়ে ফিরে এসেছেন টার্মিনালে অপেক্ষারত বাকি সদস্যের কাছে।

শেষমেষ যারা সব খুঁজেও কোনো লঞ্চে কেবিনের সন্ধান করতে পারেননি তারা বাধ্য হয়েই অপেক্ষাকৃত নতুন ও পরিচ্ছন্ন লঞ্চের ডেকে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এতে কাউকেই তেমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। মানুষের মূল ঢল এখনো শুরু না হওয়ায় তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যেই তাই তারা জায়গা নিতে পেরেছেন লঞ্চগুলোতে।
লঞ্চের ডেকভর্তি যাত্রী/ছবি: শোয়েব মিথুনতবে লঞ্চগুলোর নির্দিষ্ট সময়ে না ছেড়ে যাওয়ায় ডেকের যাত্রীদের বেশ দুর্ভোগেই পড়তে হয়েছে শেষের সময়ে। কারণ লঞ্চের পেছনে ইঞ্জিনের অংশে যাদের জায়গা হয়েছে তাদের গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার উপক্রম লক্ষ্য করা গেছে। আর যারা কেবিন পেয়েছেন তাদের কোনো সমস্যাই পোহাতে হয়নি। অধিকাংশ লঞ্চের শীতলীকরণ যন্ত্র ভালোভাবে কাজ করায় ফুরফুরে যাত্রাই হয়েছে তাদের।

ভোলাগামী যাত্রী রুকনুজ্জামান বলেন, লঞ্চে এখনো ঈদ পুরোপুরি শুরু হয়নি। এবার তাই অন্যবারের তুলনায় বেশ সাচ্ছন্দে যেতে পারছি। তবে এটা আগেভাগে টিকিট বুকিং দেওয়ারই ফল।

বরিশালগামী ফয়সাল আহমেদ বলেন, কাজের চাপে নিজে টিকিট কাটতে আসতে পারিনি। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ফোন করে টিকিট সংগ্রহ করেছি। কেবিন না পেলে যাত্রাপথে দুর্ভোগ অনেক বেড়ে যায়। সবাইকে নিয়ে তো আর ডেকে যাওয়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি থাকে।

সুন্দরবন ১০ লঞ্চের বুকিং সহকারী ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমাদের লঞ্চের কেবিন শেষ অনেক আগে। কিন্তু আমাদের ডেকের অবস্থা অন্য যে কোনো লঞ্চের চেয়ে ভালো ও আকারেও বিশাল। তাই যাত্রীদের কেবিন দিতে না পারলেও সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ডেকে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারছি।

লঞ্চ চলাচলের সার্বিক দিক নিয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, এবারের ঈদে এখন পর্যন্ত একটি যাত্রীও কোনো দুর্ভোগ পোহাননি। আমাদের যে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি রয়েছে তাতে আগামী দিনগুলোতেও কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করছি। ঈদের আগের দু’দিন ২০ ও ২১ আগস্ট চাপ কিছুটা বাড়তে পারে তবে সেক্ষেত্রেও খুব বেশি সমস্যা হবে না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test