নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্ব অদ্বিতীয়
নজরুল ইসলাম তোফা : নারী সম্ভবত মহাজগতের সবচেয়ে আলোচিত এক প্রাণী, এ কথা বলেছিলেন ভার্জিনিয়া উলফে, তিনি নিজে এবং নারী সমাজের জন্যেই একটি নিজস্ব কক্ষ চেয়েছিল, কিন্তু তা পান নি। এমন এ ধারার আলোচনাতেই তাঁর পতিপক্ষের সবাই অংশ নিলেও শুধু যার সম্পর্কে অনেক গভীর আলোচনা, সেই নারীই বিশেষ সুযোগ পায় নি অংশ নেয়ার। বলতেই হয় এমন পতিপক্ষটির নাম পুরুষ, নিজের বানানো অলীক বিধাতার পার্থিব প্রতিনিধি, আর পুরুষমাত্রই যেন খুুুব প্রতিভাবান, আবার কেউ কেউ তাঁর বিধাতার চেয়েও নাকি প্রতিভাদীপ্ত;- অন্ধ ও বধির, লম্পট ও ঋষি, কবি ও কামুক, দালাল ও দার্শনিক, বালক ও বৈজ্ঞানিক, পাপী কিংবা প্রেরিত পুরুষ, অর্থাৎ এমন এ পুরুষ প্রজাতির সবাই অংশ নিয়েছিল নারী সম্পর্কেই অন্তত একটি নেতিবাচক শ্লোক রচনায়। কিন্তু ঐ শ্লোক আসলেই যেন অশ্লীল আবর্জনার মতো। এমন প্রতিপক্ষ কিংবা এই পুরুষ জাতিরা কখনো কারো মূল্য বা অধিকারকে স্বীকার করে না।
এমনকি নারীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না অনেক সময়। সুতরাং পুরুষরা নারী সমাজ সম্পর্কে বেশ কয়েক হাজার বছর ধরে যেগুলো শ্লোক রচনা করেছে আবার তার অনেক বিধিবিধান সবটাই যেন সন্দেহজনক এবং আপত্তিকর। বলতেই হচ্ছে পুরুষ নারীকে দেখে দাসীরূপে, করেও রেখেছে দাসী; তবে স্বার্থে এবং ভয়েই কখনো সখনও মহিমাকীর্তন করে দেবী রূপে। এমন চোতুর পুরুষ এই প্রাণী, নারীদের নিন্দায় সামান্য সত্য কিংবা সামাজিক ভাবে তাদের মূল্যায়ন করলেও পর্বতীতে যেন মহিমাকীর্তন ছেড়ে তারা সুপরিকল্পিত ভাবে প্রতারণা করে। যুগে যুগেই পুরুষরা সাধারণত প্রতারণা ক'রে এসেছে নারীকে। তবে আশান্বিত কথা গুলো হচ্ছে উনিশশতক থেকে একগোত্র পুরুষ লড়াই করছে নারী সমাজের পক্ষে।তাছাড়াও বর্তমানে আবার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এক চৌকশ মেধাবী সুদক্ষ নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই কাজ করছে।
নারীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সহিত বাংলাদেশও আজ অনেকাংশেই সক্রিয়। এই জন্যে বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি। বলতেই হয় আওয়ামী লীগ সরকার এমন উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে নারীদের কল্যাণেই কাজ করছে তাঁর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র ভাবে বা স্বতঃস্ফূর্ততা সহিত। এমন এই মন্ত্রণালয়ের কার্যাবলি তা হচ্ছে, মহিলা ও শিশু বিষয় সম্পর্কিত জাতীয় নীতি, উন্নয়ন মূলক অনেক কর্ম সূচি গ্রহণ, মহিলাদের আইন ও সামাজিক অধিকার বিষয়াদি, মহিলাদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি।
এ আওয়ামী লীগ সরকার নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থানকেই মজবুতের জন্যেই চাকরিজীবী নারীদের ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করেছে, তাদের সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রেও বাবার পাশাপাশি মায়ের নামটি সংযুক্ত করেছে। এই দেশের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুুুষদে সমান অধিকার। এই অধিকারকে সরকার নিশ্চিত ভাবেই প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে কাজ করছে।
গ্রামীণ নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকেই মজবুত করার জন্যে বিভিন্ন রকম ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন, কাজকর্মে সম্পৃক্ত করবার জন্যেই গ্রামে "একটি বাড়ি, একটি খামার" প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের তাঁত শিল্প, হস্ত শিল্প এবং কুটির শিল্প বিকাশের জন্যে এ সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ নারী সমাজের যখন সহায়তা দেওয়া হয়, দেখা যায় তারা তাদের প্রদেয় সহায়তা কখনো নয় ছয় হয় না। এই সহায়তাকেই পুরোপুরি ব্যবহার করে নারীরা পরিবারকে আর্থিক সচ্ছলতা দিতে পারছে।
জানা দরকার যে, জাতীয় সংসদে নারীদের জন্যেই ৩০টি সংরক্ষিত আসনসহ পুরুষের পাশাপাশি তাঁরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে। তা ছাড়াও তাঁরা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলাদের জন্যেই আছে সংরক্ষিত আসন। আবার চাকরিতেও মহিলাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের এক পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতেই চাকরি পেতে সহায়ক হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠলেও এ দেশের সংসদ বা সরকারি চাকরিতে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন ও কোটা সংখ্যা বৃদ্ধি এক অর্থেই নারী সমাজকে এসব গুরুত্ব পূর্ণ পদে আনতে আগ্রহী করেছে এ সরকার।শহুরে নারীদের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীর অবস্থানের দিকে যদি তাকাই, তাহলে সেখানেও নারীদের প্রতি বর্তমান সরকার বহু পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন এমন সরকারের একটি গুরুত্ব পূর্ণ লক্ষ্য। নারীদের জন্যেই বিনিয়োগের একটি বিশেষ ব্যবস্থা বিদ্যমান রেখেছে সরকার। এমন নারীদের হাতে যখন অর্থ আসে, তখন তাঁদের দরিদ্র পরিবার জানে এখন দুঃখের দিন গুলোর পরিসমাপ্তি হয়তো সামনেই। গ্রামীণ নারী সমাজকেই আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাঁদের পায়ের তলার মাটিকে শুধু যে সরকার মজবুত করছে তা না, সে নারীদের স্বাস্থ্যের দিকেও যেন সরকারের বহু দৃষ্টি রয়েছে। যার ফলেই আজ, গ্রামীণ নারীর সুবিধার্থে গড়ে উঠেছে বহু কমিউনিটি ক্লিনিক। সুতরাং মাতৃমৃত্যু হ্রাস এমন এ বাংলাদেশে অনেকখানিই সফলতার দ্বারপ্রান্তে।
বাংলাদেশের নারীসমাজ রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলা যায়, একেবারেই অনেক আগে পিছিয়ে ছিল। এখন নারীদের দিকে বর্তমান এই আওয়ামী লীগ সরকার চৌকশ সু দৃষ্টির জন্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং চাকরিতেও অনেকাংশে গুরুত্ব পূর্ণ ভাবে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। উন্নয়নের দেশ, এ বাংলাদেশ। নারীদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্যে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের একটি রোল মডেলে অবস্থান করছে বলেই মন্তব্য করেছে, জাতীয় সংসদের স্পিকার- "শিরীন শারমিন চৌধুরী"।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদনেতা ও প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা সহ বিরোধী দলের নেতাও- "নারী"।জাতীয় সংসদে মোট- '৭৩ জন' নারীর প্রতিনিধিত্বও রয়েছে। উচ্চ কিংবা নিম্ন আদালতেও আসীন আছে উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক নারী বিচারক। আবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েও রয়়েছে নারী সচিব। দিনে দিনে বাড়ছে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা। এ দেশের নারীরা পুলিশ, সেনা বাহিনী বা জাতি সংঘের শান্তি বাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং কাজে উচ্চ পদে সু-দক্ষতার সঙ্গেই কাজ করছে। নারী বিজ্ঞানী, নভোচারী, গবেষক, উদ্ভাবক, রাষ্ট্র নায়ক, যোদ্ধা থেকে শুরু করেই যেন সমাজের সর্বস্তরে তাঁদের প্রতিভা, মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। সমাজে এ নারীদের ব্যাপক অংশ আজও যে পশ্চাদপদ অবস্থায় পড়ে রয়েছে তা এই পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণেই হয়তোবা কিছুটা। এ অসম্ভব কাজ গুলোকেই সম্ভবনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিয়েছে গণমানুষের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুুতরাং নারী সমাজের গতানুগতিক ভাবেই শিক্ষকতায়, ডাক্তারি পেশায় এবং মিডিয়া লাইনেও নারীর আধিপত্য এবং তাদের দাপট রয়েছে।
সুতরাং ঐতিহ্যগত ভাবেই কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি এমন এই বাংলাদেশ এখন শিল্প ভিত্তিক অর্থনীতিতেই গড়ে উঠছে। এ দেশীয় তৈরি পোশাক ও ব্যবহৃত বিভিন্ন ঔষধ শিল্পের সহিত তথ্য প্রযুক্তি খাতও বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। একটু জানা দরকার, এ দেশের পল্লী অঞ্চলে নারী সমাজ তেমন অগ্রগতি না হলেও অপর দিকেই যেন নারীরা ধর্ষণ, যৌননির্যাতন, এসিডনিক্ষেপ, নারীহত্যা, নারীপাচার,
নারী অপহরণ, নারী বৈষম্য ও নারীকে বিভিন্ন ভাবে শোষণের সঙ্গে নানা ধরনের অন্যায় অবিচার থেকে অনেকাংশেই যেন মুক্তি দিতে পারছে সরকার। তবে এমন এই সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যা কিছু চোখে পড়ছে তাকেও যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েই খুব দ্রুতগতিতেই বিচারের আওতায় নিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের নারীদের সুরক্ষায় অসাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে বিভিন্ন আইন। প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসট্রেইন অব হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যাক্ট, পর্নোগ্রাফি কন্ট্রোল আইন সঙ্গেই পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ইত্যাদি। নির্যাতিতা নারীদের আইনগত সুবিধা এবং অভিযোগ নেওয়ার জন্যেই এ দেশে প্রতিটি জেলায় খোলাও আছে স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার। তাই ধর্ষিতা নারীদের অনেক হেল্প করার জন্যেই যেন কয়েকটি সরকারি হাসপাতালেও সরকারের উদ্যোগে জরুরি পরীক্ষার জন্যেই ডিএনএ ল্যাব খোলা হয়েছে।
নারী সমাজের পায়ের তলা সৃদৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে অবশ্য প্রয়োজন রয়েছে নারী শিক্ষা। এখন এ দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব ছাত্রীদের বিনামূল্যে অধ্যয়ন করতেই সহায়তা প্রদান করছে। প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে শুরু করেই যদি এমন নারী সমাজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়, তবে ভালো ফলাফলধারী হিসেবে দেখা যাবে নারীই এগিয়ে রয়েছে। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও যে মেয়েটি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তার মধ্যেও ব্যক্তি সচেতনতা দিনে দিনেই গড়ে উঠছে। বর্তমানে বাংলাদেশের নারী শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, আইনগত ভাবে, আর্থিকভাবে, মানসিক সাপোর্টে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রকে সঙ্গে পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারীর অগ্রগতির পথে পাশে রয়েছে তাঁর পরিবার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী "শেখ হাসিনা" গ্রামীণ নারীদের অবস্থানকে চৌকশ ভাবে তুলে ধরে বলেন, তাদের জীবন যাপন এবং অবস্থাকে সঠিক সময়েই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের প্রচ্ছন্ন ভূমিকার প্রতি এই সরকার ও জনগণের অনুভূতিকে জাগ্রত করার সঙ্গে নারীর বহুমুখী কার্যক্রমের সমর্থন দিতে হবে। তাদের বহু ধরনের বাস্তবতাকে তুলে ধরে এই নারীদের অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক মর্যাদাকেই সমুন্নত রাখতে হবে। পরিবেশ ও প্রাণ বৈচিত্র্য এবং তাদের কৃষিকর্ম রক্ষায় গ্রামিণ নারীদের যে ভূমিকা রয়েছে, তাঁর উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট ভাবে নিশ্চিত করেই সহযোগিতা প্রদান প্রয়োজন। এ দেশের গ্রামাঞ্চলে পরিশ্রমী নারীর পাশা পাশি সকল নারী সমাজকেই প্রচ্ছন্ন ভাবে ব্যাপক অবদানে রাখলে নারী সমাজ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে আর অবহেলিত থাকবে না। তাঁদের ঘর-সংসারের যাবতীয় কাজকর্মের পাশাপাশি সামান্য আয়ে তাঁরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে বলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, পারিবারিক ভাবেই নারীরা বিশেষ করে গ্রামীণ নারী সমাজ প্রচন্ড চাপের মুখে থাকে।
আবার দেখা যায়, তাঁরা কোনো কাজ করেও শ্রমমুল্য এবং সম্মান ঠিক মতো পায় না। অত্যাচার, নির্যাতন আর বৈষম্যের মূল শিকারে অবস্থান করে গ্রামীণ নারী সমাজ। আবার স্বীকার করে নিতে হবে যে, গ্রামীণ নারীসমাজ ঐতিহ্যগত ভাবে যেন গ্রামীণ কৃষি ও বীজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রাণ বৈচিত্র্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। কৃষি ব্যবস্থার কাঠামো গড়ে উঠেছে এক কথাতেই বলা যায় নারী সমাজের বহুবিধ জ্ঞান, পরিশ্রম এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের নারীসমাজ পরিশ্রম করেই ঘরে ঘরে বিভিন্ন প্রকারের কৃষি বীজ উৎপাদনের মধ্য দিয়েই পুরুষদের চাষাবাদের জন্য সহযোগিতা করে থাকে। পাশাপাশি পরিবার কিংবা সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেই তাঁদের ভূমিকাও সারা বাংলাদেশ জুড়ে এক ধরনের ঐতিহ্যপূর্ণ সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। আর এ দেশের গোল্ডেন গার্লরা যে আমাদের চরম শক্তি। গোল্ডেন গার্ল তথা আমাদের গার্মেন্টস-নারীরা তো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অনেক সাফল্য এনেছে। তাঁদের এ সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে এবং তাঁরা অবিরাম পরিশ্রম করেই এ দেশের সুনাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
প্রত্যন্ত গ্রামে কিংবাা শহরে গরিব-অসহায় মেয়েদের বাল্যবিবাহের শিকার হয়, আবার অনেক নারীরাও যেন নেশায় আসক্ত হয়়ে যাাচ্ছে। এই সন্তানদের তো মানুষ করতে হবে। এমন সন্তানকেই মানুষের মতো মানুষ হওয়ার দোষ বা দ্বায় সরকারের নয়। তবুও এ আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবন্ধী নারী সহিত সকল নারীসমাজের আত্মমর্যাদা, বাল্যবিবাহ এবং নেশায় আসক্ত থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা নিয়েছে। সুুতরাং পরিশেষেই একটি কথা বলি, নারীরা কখনই কোনো দুর্বল মানুষ নয়। কেউ নারী হয়ে জন্মায় না। সমাজ একটি মানব শিশুকে ধীরে ধীরে নারী'তেই পরিণত করে। শৈশব থেকে হাজারো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হতেই হয় "নারী"।
পারিবারিক এবং সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে নারীরা নিজেই নিজেকেই অবলা ভাবতে শিখে। নারীর মন ও মননের বিকাশের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে, তাদের কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার মতো সে দুর্বিসহ এবং অসহায় জীবন আর নেই। তাই নারীকে ভাঙতে হবে তার শৃঙ্খল। মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন কিংবা একটি সম্মানজনক জীবন নারী পেতেই পারে। তাই "শেখ হাসিনা" যোগ্য মানুষ হিসেবেই বাঁচার অধিকার যেন নারী সমাজকে নিশ্চিত করছে। তিনি বলেন, সমাজ তখনই পরিবর্তন হবে, যখন এই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সকল পুরুষদের প্রতি আহ্বানসহ প্রত্যেকে নারীদের উন্নততর জীবনচর্চারও নির্দেশনা দিয়েছে।
লেখক :চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট।
পাঠকের মতামত:
- ‘প্রান্তিক মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছি’
- তিউনিসিয়া থেকে নিজ গ্রামে এসেছে রাজৈরের ৫ যুবকের মরদেহ
- নির্বাচিত হলে সততার সাথে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন মাসুদা বেগম
- ফরিদপুরে কবি মিনতি দত্ত মিশ্রকে সংবর্ধনা
- চেয়ারম্যান প্রার্থী ওদুদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ
- চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরার এক নারীকে সৌদি আরবে বিক্রির অভিযোগ
- কাপাসিয়ায় ইউসিবি ব্যাংকের উদ্যোগে কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ
- মহম্মদপুরে বিভিন্ন মামলার ৬ আসামী আটক
- এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি
- দিনাজপুর পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- ‘মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা পরিবেশগত সঙ্কট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে’
- ব্যাকআপ না থাকায় ভোটে দাঁড়াবেন না হিরো আলম
- শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
- বরিশালে বাস চাপায় হেলপার নিহত
- সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
- আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ
- এবার বলিউডের গানে আসিফ
- ‘সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে ওরাল ক্যানসার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব’
- নগরকান্দায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই চারটি দোকান
- ফরিদপুরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত
- উত্তরায় নিবন্ধিত রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ
- ধামরাইয়ে ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচন ২১ মে
- কাপাসিয়ায় নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
- পাংশায় বাস ও ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৮
- নোয়াখালীতে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা
- বশেমুরবিপ্রবি’তে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- গোপালগঞ্জে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বাসমতি চাল উৎপাদিত
- যশোর-নড়াইল মহাসড়কে পিচ গলে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে দুদক
- নিখোঁজের একদিন পর নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
- ‘জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন’
- ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম লক্ষ্য সিরিজ জয়’
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
- শুধু অভিযোগ নয়, করুন প্রশংসাও
- আজ বিশ্ব মুক্ত-গণমাধ্যম দিবস
- চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত
- ১০ টাকার টিকিটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘বিক্ষোভের অধিকার সবার আছে, বিশৃঙ্খলার নয়’
- ‘প্রধানমন্ত্রীর উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রয়েছে’
- এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে
- 'পূর্ব বাংলায় অতি সাংঘাতিক মাত্রায় ত্রাস, বর্বরতা ও গণহত্যা চলেছে'
- কাপ্তাইয়ে ঝড়ে চলন্ত গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ল গাছ, আহত ২
- মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কামাল হোসেন ফের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- পটুয়াখালীতে সাংবাদিক-রাজনীতিক আব্দুর রশিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- ‘দেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে’
- ‘তাপপ্রবাহে শ্রমজীবীদের বাঁচাতে সরকার কিছুই করছে না’
- ‘শাকিবের পরিবার বিরক্ত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে’
- কাপাসিয়ায় স্কাউটসের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- সাভারে পৃথক অভিযানে ৫ আসামি গ্রেফতার
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !