E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘূর্ণিঝড় তিতলি, টেকনাফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

২০১৮ অক্টোবর ১২ ১৫:৩৪:৩৫
ঘূর্ণিঝড় তিতলি, টেকনাফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে পানি ঢুকে অনেক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক বসতঘর। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় দ্বীপটিতে বসবাসরত ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে সাগর উত্তাল ও পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর পানিতে ডুবে গেছে। দ্বীপের পশ্চিমাংশে মাঝারপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিমপাড়ার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার হাজারও মানুষ আশ্রয় নিয়েছে দ্বীপের পূর্ব অংশে থাকা লোকজনের ঘরবাড়িতে।

টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে সাগর উত্তাল থাকায় জোয়ারের সময় পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় ওঠে। এর ফলে পানিতে অনেক বাড়িঘর ডুবে গেছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় শাহপরীর দ্বীপের মাঝের পাড়া, দক্ষিণপাড়া ও জাইল্যাপাড়া এলাকার অনেক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, জোয়ারের পানিতে কতগুলো ঘর বিলীন হয়েছে তার হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষণিক ২০ কেজি করে চাল এবং কিছু শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বাতাসের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় উপকূলের লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test