E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডিএনসিসির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

২০১৮ অক্টোবর ১৫ ১৩:০৮:১৭
ডিএনসিসির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য তৈরিতে উদ্বুদ্ধকরণসহ ব্যতিক্রমী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ জন্য বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়নও শুরু করেছে সংস্থাটি।

ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়ন এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, এর পাশের ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড এবং শ্যামলী রিং রোডের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বিভিন্ন খাদ্যপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে সংস্থাটি। পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নগরবাসীর জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার সচেতনতা, প্রয়োজনীয় সুযোগ ও প্রশিক্ষণ। সেই লক্ষ্যে ডিএনসিসি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

হোটেলের মালিক, কর্মচারী ও কারিগরদের জন্য প্রশিক্ষণে গুরুত্ব পাচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রাথমিক ধারণা, খাদ্য দূষণ, নিরাপদ উপায়ে খাদ্য নড়াচড়া করা ও সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য প্রস্তুত, রান্না ও পরিবেশন, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাদ্য স্থাপনা, যন্ত্রপাতি ও বাসনপত্রের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, জীবাণু বিনাশ, কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়, হাত ধোয়া ও খাদ্য সরঞ্জামাদি পরিষ্কারের পদ্ধতি হাতে-কলমে বড় পর্দায় শেখানো।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার নাগরিকদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এমন প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডেও অনুষ্ঠিত হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি খাদ্যপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ডিএনসিসি নতুন উদ্যোগকে ব্যবসায়ীগণ স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইন না জানা বা বিভিন্ন কারণে অনিরাপদ খাদ্য তৈরি হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া পাবে বলে আশা করছি।

কারওয়ান বাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী জামাল আক্তার বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হলে অবশ্যই গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে। নিরাপদ খাদ্যের জন্য উত্তর সিটি কর্পোরেশন আমাদের এবং কর্মচারী-কারিগরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যেমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি, সচেতন হচ্ছি পাশাপাশি কাস্টমারদের নিরাপদ খাদ্য উপহার দেয়ার জন্য একটা অনুপ্রেরণামূলক দায়িত্ববোধও সৃষ্টি হচ্ছে। পুরো রাজধানীর হোটেল মালিক, কর্মচারী, কারিগরদের এমন প্রশিক্ষণ দেয়া হলে আসলেই প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে।

অফিসের কাজের কারণে সারাদিন বাইরে থাকতে হয় বেসরকারি চাকরিজীবী এহসানুল বারীকে। যে কারণে প্রায় প্রতিদিনই হোটেলে সকাল-দুপুরের খাবার খেতে হয় তাকে। বলেন, কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলে খেতে এসে জানতে পারলাম নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সিটি কর্পোরেশন তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। উদ্যোগটি ভালো, এতে সাধারণ মানুষ খুবই উপকৃত হবে। বেশির ভাগ হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি হয়, আর আমাদের মতো মানুষদের বাধ্য হয়েই এসব খাবার খেতে হয়।

তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যেমে যদি তারা সচেতন হয়, পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকে তাহলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে পুরো রাজধানীর হোটেল মালিক, কর্মচারী, কারিগরদের জন্য এমন প্রশিক্ষণ এবং কার্যকর পদক্ষেপ সিটি কর্পোরেশনের গ্রহণ করা উচিত।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test