E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়ের কপি পাওয়ার পর বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

২০১৮ অক্টোবর ৩১ ১৭:২৪:২৫
রায়ের কপি পাওয়ার পর বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, আমি এটা এখনও পাইনি। আদালত কী আদেশ দিয়েছেন, এটা জেনে পরে বলতে পারবো।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের এই সভা হয়। এতে নির্বাচন সামনে রেখে বেশকিছু বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দণ্ডিত হওয়ার কিছুদিন আগে বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে দলটির গঠনতন্ত্রে দলের নির্বাহী কমিটির পদে থাকা ও দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া সংক্রান্ত ৭ নং ধারা সংশোধন করা হয়।

গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় উল্লেখ ছিল- ‘প্রেসিডেন্ট কর্তৃক দণ্ডিত, দেউলিয়া, উন্মাদ বলে প্রমাণিত, সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে কিংবা দলের হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’

এসব কথা উঠিয়ে দিয়ে সংশোধীত ওই ৭ ধারায় যোগ করা হয়, ‘প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দলের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ৩০ বছরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না।’

পরবর্তীতে তা ইসিতে পাঠায় বিএনপি। ওই সংশোধনী গ্রহণ না করতে মোজাম্মেল হোসেন নামের কাফরুলের কথিত এক বিএনপিকর্মী মঙ্গলবার ইসিতে আবেদন করেন। একই সঙ্গে ওইদিনই হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা চান তিনি। এ ছাড়া আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংশোধীত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশনা চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এই ৭ নং ধারায় নিয়ে সংশোধিত অংশ গ্রহণ না করতে ইসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলে দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে এমন বিধান বাদ দেয়া কেন বেআইনি হবে না এবং সংবিধান ৬৬ (২) (ঘ)-এর পরিপন্থী হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test