E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হাসনা হেনার মুক্তি দাবিতে ক্লাস বয়কটের হুমকি

২০১৮ ডিসেম্বর ০৮ ১৪:২৭:০৬
হাসনা হেনার মুক্তি দাবিতে ক্লাস বয়কটের হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার : ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ দেখিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।

শনিবার দুপুর ১২টার দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের সামনে বসে তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরআগে একই দাবিতে গতকালও বিক্ষোভ করেছিলন তারা।

শনিবার আন্দোলনে যোগ দেয়া শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা রবিবার থেকে ক্লাস বয়কট করবেন।

আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড রয়েছে। সেগুলোতে ‘আমার মায়ের অপমান মানবো না, মানবো না’, ‘আমার মা নির্দোষ, নির্দোষ, নির্দোষ’, ‘মুক্তি চাই মুক্তি চাই আমার মায়ের মুক্তি চাই’, ‘হাসিনা আপার মুক্তি চাই সুষ্ঠু তদন্ত চাই’য়ের মতো বিভিন্ন স্লোগান লেখা রয়েছে।

এই শিক্ষার্থীরা বলছেন, মায়ের মতো শিক্ষককে বিনা অপরাধে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আমার মাকে ছাড়া আমরা আর ক্লাসে যাবো না। তাকে যদি মুক্তি দেয়া হবে সেদিন আমরা আবারও ক্লাসে ফিরব।

তারা বলেন, অরিত্রি আমাদের বোন, আর হাসনা হেনা ম্যাম আমাদের মা। অরিত্রি আত্মহত্যা করেছে, এই বেদনা আমাদের বুকে, আমরা ভুলতে পারছি না। এখন আমাদের মাকে জেলে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে, সেটি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এ কারণে আমরা ক্লাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতদিন আমাদের মাকে ক্লাসে ফিরিয়ে দেয়া না হবে, ততদিন আমরা ক্লাস বয়কট করে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

গেল সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেছিলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রবিবার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়।

সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও অরিত্রির শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেন অরিত্রির বাবা।

এরপর শিক্ষামন্ত্রণালয় ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্তোর নির্দেশ দেয়। রাতে গ্রেফতার হন হাসনা হেনা। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test