E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দেখুন অ্যাকশন হয় কিনা : গণপূর্তমন্ত্রী

২০১৯ জানুয়ারি ১৪ ১৫:১০:২৮
দেখুন অ্যাকশন হয় কিনা : গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাকে একটু সময় দিন পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘আরবান রেজিলেন্স প্রকল্প’ বিষয়ক এক সভা শেষে মন্ত্রী একথা বলেন।

রাজধানীর পুরান ঢাকায় অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। যেসব ইমারত বসবাসের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ- সেগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বেশকিছু কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা এটা সম্পন্ন করার পরে যে কোনভাবেই হোক না কেন, কোনো রকমের বাধা এক্ষেত্রে মেনে নেব না। আমরা মানুষের নিরাপত্তা, জীবনের নিরাপত্তা, নগরীর পরিবেশ এবং পরিকল্পিত নগরী রক্ষার জন্য এসব ভবন ভেঙে ফেলার জন্য তাদের তাগিদ দেব। তারা যদি ভাঙতে না চান আমরা নিজ উদ্যোগে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব।

‘আতীতে কী হয়েছে জানি না, এখন থেকে অপরিকল্পিত কোনো দালান নির্মিত হবে না। যে দালান বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে সেক্ষেত্রে আইন তার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

কী পরিমাণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ চলছে, এক মাস পরে জানাতে পারবো। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছি যেটা কোনভাবেই বসবাসযোগ্য না বা রক্ষাযোগ্য না বা অপরিকল্পিতভাবে হয়েছে, সেগুলোকে আমরা নির্ধারণ করে মফস্বল এবং ঢাকার সবখানেই ব্যবস্থা নেব।

‘ইতোমধ্যে এই জাতীয় দালানগুলোকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। চলার গতিটা ইনশাল্লাহ বাড়িয়ে দেব। আত্মবিশ্বাস রাখেন, আমি তো তিন-চারদিন আসলাম এই মন্ত্রণালয়ে, আমাকে একটু সময় দেন ইনশাল্লাহ একটা রেডিকেল চেঞ্জ দেখতে পারবেন।’

অন্য এক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, …অনেক জায়গায় বসবাস অনুপযোগী ইমরাত আছে, সেটাকে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে নোটিশটা যেভাবে হওয়া উচিত, সুনির্দিষ্টভাবে। এই সুনির্দিষ্টতার কিছু অস্পষ্টতা থাকায় অনেকে আদালতের আশ্রয় নিয়েছে। বলেছে এটা ভেগ টার্ম। ফলে আদালতের বেশকিছু মামলায় স্থগিতাদেশ বা ইনজাংশন রয়েছে। এ ধরনের প্রায় আট হাজার মামলা আছে। সেই মামলাগুলোকে কীভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমরা রাজউকে বসেছি।

আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল বলেন, আমি নিজে যেহেতু ল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি, কাজেই লিগ্যাল ম্যাটার্সগুলোকে সলভ করতে হবে। আমরা আইনকে ভঙ্গ করে কিছু করতে চাই না। তবে আইনের অজুহাতে আবার সব উন্নয়ন কাজ অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজকে আটকে রাখা সেটাও নিশ্চয়ই হবে না। আমরা আরও বেশি লিগ্যাল এক্সপার্টকে এসব মামলায় ইনগেজ করবো।

‘সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। আমি সুনির্দিষ্টভাবে সব খবর নেই। আমি শুনেছি অনেক অনিয়ম, দুর্নীতির কথা। আপনারা সাংবাদিকেরা সমাজ-রাষ্ট্রের তৃতীয় চক্ষু। আমাকে সাহায্য করুন, একটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের পর যদি ব্যবস্থা না হয় বিং মিনিস্টার, আই উইল টেক দি রেসপনসিবিলিটিজ। আমাকে সাহায্য করুন।’

তিনি বলেন, গৎবাঁধা চলছে, চলবে এরকম না। সাহায্য করুন দেখুন অ্যাকশন হয় কিনা?

‘আমি যেহেতু স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কাজেই টিমওয়ার্কে রাজউকসহ আমার মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন সবাইকে তাই করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাকে একটু সময় দেন, দেখবেন, অবশ্যই পরিবর্তন দেখবেন।’

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে যেন কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষ এবং সম্পদের বিশাল ক্ষয়ক্ষতি না হয়। প্রশাসনের বা সামগ্রিকভাবে আমাদের গাফিলতির কারণে মানুষ এবং সম্পদ, গবাদি পশু থেকে শুরু করে কোনো কিছু যেন বিপন্ন অবস্থায় না পড়ে, ভয়াবহ ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকারের প্রচেষ্টা থাকবে।

‘শুধু সরকারি উদ্যোগেই নয়, সাধারণ মানুষকে কীভাবে সম্পৃক্ত করে এ জাতীয় পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে পারি সে বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলার কাজ করছি।’

সভায় মন্ত্রণালয় ও রাজউকের কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test