E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশ চেষ্টা করলে সবই পারে : শাহনাজ

২০১৯ জানুয়ারি ১৬ ১৫:১৪:৩৭
পুলিশ চেষ্টা করলে সবই পারে : শাহনাজ

স্টাফ রিপোর্টার : ‘পুলিশ চেষ্টা করলে সবই পারে, এটা আবারও প্রমাণিত হল’ বলে মন্তব্য করলেন আবেগআপ্লুত শাহনাজ আক্তার।

বুধবার তেজগাঁও ডিসি অফিসে স্কুটি ফিরে পাওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

শাহনাজ বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। স্কুটিটি পেয়ে সর্বপ্রথম আমি সাংবাদিক ভাইদের ধন্যবাদ জানাই। এরপর আইনের লোকদের। পুলিশ এতো পরিশ্রম করে এতো দ্রুত স্কুটিটি উদ্ধার করবে তা কখনও ভাবিনি। ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়ালে যেমন পুলিশের তৎপরতা দেখতাম, আমার ক্ষেত্রেও একই তৎপরতা দেখলাম। পুলিশ গেল আর স্কুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসল।’

তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী আর আত্মীয়স্বজনরা বলেছিল স্কুটিটির আশা ছেড়ে দাও। পুলিশ যতক্ষণে স্কুটি উদ্ধার করবে ততক্ষণে চোর স্কুটিটি বিক্রি করে টাকা খেয়ে ফেলবে। তবুও আমি পুলিশের ওপর ভরসা রেখেছি।’

স্কুটিটি পেয়ে কেমন লাগছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেমন লাগছে তা বলে বুঝাতে পারব না। চোর শুধু আমার স্কুটি চুরি করেনি, আমার রুটি রুজিও নিয়ে গিয়েছিল। স্কুটির সঙ্গে আমার রুটি রুজিও ফিরে পেলাম।’

দুইদিন ধরে মাথায় হেলমেট খোলেন নি? কারণ কি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হেলমেটটি পড়েছিলাম, কারণ আমার মনে হয়েছে এটিই আমার স্কুটি।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চালানোর বাহানায় শাহানাজের স্কুটি ছিনতাই করেন জনি নামের এক দুর্বৃত্ত। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া এভিনিউতে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাতেই শাহানাজ বাদী হয়ে স্কুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনিকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি মিরপুরের শ্যামলী এলাকায় জনির সঙ্গে শাহনাজের পরিচয় হয়। এসময় তিনি নিজেকে পাঠাও চালক বলে পরিচয় দেন। সে আমাকে (শাহনাজ) একটি স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে বলে জানান। আমি তার কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করি। এর জন্য ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় জনি আমাকে খামার বাড়িতে আসতে বলেন। তার কথামতো স্কুটি নিয়ে যথাসময় সেখানে এসে তার সঙ্গে দেখা করি। এরপর হঠাৎ সে আমার স্কুটিতে উঠে বসেন এবং আমাকে নিয়ে বিমানবন্দর এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর পুনরায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে একটি টং দোকানে জনিকে নিয়ে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় তিনি কৌশল করে আমার স্কুটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test