E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

প্রতিবন্ধী কোটা বহাল আছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

২০১৯ জানুয়ারি ২১ ১৬:৫৩:২১
প্রতিবন্ধী কোটা বহাল আছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

স্টাফ রিপোর্টার : প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দিলেও আইনানুযায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

প্রতিবন্ধীবিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদনের বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান- প্রতিবন্ধীদের জন্য করা আইনে কোটা রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু আপনার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সব ধরনের কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছে। কোট বাতিল হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছে বলে প্রতিবন্ধীরা আন্দোলন করছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়নি। তবে আপনাদের জানার জন্য বলি, আইনে যে প্রভিশন আছে ওটা কিন্তু কার্টেল (বাদ দেয়া) হয়নি। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অর্ডার (প্রশাসনিক আদেশ) দিয়ে আইন কখনও সুপারসিড হয় না। (প্রতিবন্ধীদের কোটা আইনানুযায়ী) যা ছিল, তাই আছে।’

প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কোটা ছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

কোটা বাতিলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের সুপারিশ করে। পরে গত বছরের ৩ অক্টোবর কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রতিবন্ধীবিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা অনুমোদন

‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এবং ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা, ২০১৫’ এর আলোকে প্রতিবন্ধীবিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইন বা বিধিমালার আলোকে সেই ব্যাপারে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। প্রবেশগম্যতা বা অ্যাক্সেসিবিলিটি, অর্থাৎ প্রতিবন্ধীরা চলাফেলার ক্ষেত্রে কোন জায়গায় কীভাবে যাবেন সেটা নিয়ে অনেকগুলো বিষয় রাখা আছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবেশগম্যতা যেমন- ভৌত অবকাঠামো, পরিবহন ও যোগাযোগসহ জনসাধারণের প্রাপ্য সব সুবিধা ও সেবাসমূহে অন্যদের মতো সমসুযোগ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নিশ্চিত করা। যেমন- বাসে আজকাল প্রতিবন্ধীরা উঠতে গেলে একজন টেনে তুলতে হবে বা ল্যাডার লাগাতে হবে। অন্য দেশে দেখবেন যে বাস বে’র সাথে সেইম লেবেল, হুইল চেয়ার দিয়ে উঠে যেতে পারে। আমাদের আস্তে আস্তে ওই বিষয়গুলোর মধ্যে যেতে হবে, এ বিষয়গুলো এখানে আছে।’

‘অর্থাৎ গণপরিবহন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী করার নির্দেশনা আছে, এটা করতে হবে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘ভবনগুলোতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০০৬ এর বিধানগুলো কার্যকর করা। যেমন- সব গণস্থাপনা ভবন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আদালত, পুলিশ স্টেশন, আইনি সহায়তা কেন্দ্র, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, বিমান বন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর, দুযোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র, সাইক্লোন সেল্টার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উড়াল সেতু, পরিসেবার স্থান, বিনোদন ও খেলাধুলার স্থানসহ সকল জায়গায় এটা (বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন) করা।’

‘বিমানে আই-চেয়ার, কেবিন চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার শিশু ও দুগ্ধ কন্যার প্রবেশগম্য টয়লেট ইত্যাদি রাখার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test