E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইজতেমায় যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন 

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৮:৫২:২২
ইজতেমায় যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন 

স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা। এ উপলক্ষে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সমবেত হবেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ।

মুসলিম বিশ্বের অন্যতম এ ধর্মীয় জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে এবার বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম পর্বে আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্বে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ইজতেমা হবে।

ইজতেমায় বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ যানবাহন পার্কিংয়ে এবং বেশ কিছু সড়কে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে নগরবাসীর সহযোগিতাও কামনা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যানবাহন পার্কিং ও সড়কে চলাচলের বিভিন্ন নির্দেশনার কথা জানায় ডিএমপি।

এতে জানানো হয়, ১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে মহাখালী ক্রসিং, হোটেল র‌্যাডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮ নং সেক্টরের প্রবেশমুখ এলাকায় ডাইভারশন থাকবে।

ডাইভারশন চলাকালে আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব যানবাহন মহাখালী ক্রসিং হয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।

কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানগুলোকে হোটেল র‌্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন দেওয়া হবে। এসব যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে।

কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিগুলোকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন মেনে চলতে হবে। ওই সড়কে চলাচলরত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে।

প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন পাবে।

আখেরি মোনাজাতের দিনগুলোতে কেবল ফ্লাইট অপারেশনস ও ক্রুদের বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে। এছাড়া সব যানবাহনের চালকগদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ দুই দিন ভোর ৪টা থেকে বিদেশগামী বা বিদেশফেরত যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ থেকে বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২টি মিনিবাস ও ২টি মাইক্রোবাস ফ্রি পরিবহন সেবা দিতে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে মোতায়েন থাকবে।

গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত

রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পার্শ্বে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন-

চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড)।

ঢাকা বিভাগ পার্কিং: সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত।

সিলেট বিভাগ পার্কিং: উত্তরার ১৫ নং সেক্টর খালপাড় থকে দিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত।

খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরার ১৭ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ)।

রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং।

বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।

ঢাকা মহানগর পার্কিং: উত্তরার শাহজালাল অ্যাভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা।

নির্ধারিত পার্কিংস্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১৩-৩৯৮৪৯৮) অথবা টিআই (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৯১২-০২৫৯৩৯) নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test