E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আসামেও যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করতে চায় সরকার

২০১৯ মার্চ ২০ ১৭:০৭:৫৭
আসামেও যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করতে চায় সরকার

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের কলকাতায় জাহাজ চালুর দিনক্ষণ নির্ধারণের পর আসামসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অন্য অঞ্চলেও যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করতে চায় বাংলাদেশ সরকার।

বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

৭০ বছর পরে আগামী ২৯ মার্চ বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় জাহাজ চলাচল শুরু প্রসঙ্গ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সময় ইকনোমির দিকে তাকালে হবে না। কিছুটা রিলেশনের দিকেও তাকাতে হবে। এটা আমরা চালু করি তারপর কোন পর্যায়ে নিতে পারবো চিন্তা-ভাবনা করবো।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আসামসহ অন্য দিকেও যাবো। কিছুদিন আগে প্রাইভেট একটি কোম্পানি ঘুরে গেছে। শুধু আঞ্চলিক নয়, এ অঞ্চলের বাইরে যাওয়ারও আগ্রহ আছে। আমাদের সক্ষমতা যত বেশি বাড়বে, আমাদের বিস্তৃতি তত বেশি বাড়বে।

নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় পর্যায় চলছে। চট্টগ্রামেও আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমাদের লক্ষ্য, আমরা নদী দখলমুক্ত করবো। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকা শহরের নদীগুলো মানুষের বসবাস ও চালাচলের উপযোগী করতে চাই। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা কাজ করছি। অল্প দিনেই আপনারা এর প্রতিফলন দেখতে পাবেন।

পুনর্দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রম টেকসই হবে, কারণ একটা মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মাস্টারপ্ল্যান যদি আমরা চূড়ান্ত করতে পারি তবে শুধু দখলমুক্ত নয়; বুড়িগঙ্গা-তুরাগ-বালু-শীতলক্ষ্যা নদীর পানিও দূষণমুক্ত করতে চাই।

ধর্মীয় স্থাপনা অপসারণের কাজ শুরু করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দিতে চাই না। আমরা এ বিষয়ে মুফতি-মাওলানাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে দায়িত্ব দেওয়া আছে। তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জড়িতদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আমরা সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ তৈরি করতে চাই, নদীকে দখলমুক্ত করতে চাই। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নৌখাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। তাদের অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি বিনিয়োগ করতে কোনো অসুবিধা নেই। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।

‘চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে যেহেতু তাদের সঙ্গে একটা কার্যক্রম আছে, এগুলো নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, আমরা মোংলা, মাতারবাড়ি ও পায়রা বন্দর নিয়ে যে কাজগুলো করছি, ভবিষ্যতে কী করতে চাই সে বিষয়ে তাকে অবহিত করেছি।

আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ও নিরাপত্তার বিষয়টি স্থান পায়। এছাড়া মোংলা, পায়রা বন্দর ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী রাষ্টদূতকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি উপহার দেন।

এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test