E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আকাশে খুদে বাংলাদেশ ‘রাঙাপ্রভাত’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(ভিডিও)

২০১৪ জুলাই ২৪ ১৬:২৪:৪৪
আকাশে খুদে বাংলাদেশ ‘রাঙাপ্রভাত’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক : কারো সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কাউকে জড়িয়ে ধরে, কারো সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করে এগিয়ে চললেন। শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ছবি তুললেন একের পর এক। নারীরা এগিয়ে গিয়ে সামিল হলেন সেই ছবিতে। বয়োঃবৃদ্ধদের দিকে ঝুঁকে তাদের শরীর-স্বাস্থ্যের খবর নিলেন। আর জানতে চাইলেন তাদের কেমন লাগছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এই ভ্রমণ।

বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন লন্ডন থেকে ঢাকাগামী বিজি ০১৬ এর বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ যাত্রী হিসেবে আসন নেন তখন প্লেনটি কানায় কানায় পূর্ণ। বলা বাহুল্য, অত্যাধুনিক এই প্লেনের ৪১৯ আসনের সবক’টিই পূর্ণ বাঙালি, বাংলাদেশি যাত্রীতে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে লন্ডন গিয়েছিলেন মোট ৬৩ জন। তারাও রয়েছেন ফ্লাইটে।

লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছাড়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়। সহজ ও নির্বিঘ্ন উড়াল। ককপিট থেকে যখন সিটবেল্ট খুলে ফেলার ঘোষণা এলো তখন যাত্রীরা একটু নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছেন। আর তখনই বিজনেস ক্লাস থেকে ইকোনমি ক্লাসে ঢুকলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরো উড়োজাহাজটি যেন মুহূর্তে হয়ে উঠলো একটি খুদে বাংলাদেশ; যার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাম দিকের রো দিয়ে এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে।

সফরসঙ্গীরা ছাড়া আর কারো নিশ্চয়ই জানা ছিলো না এই ফ্লাইটেই রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। হঠাৎই সামনে অতি কাছে তাকে পেয়ে হকচকিয়ে গেলেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বভাবসুলভ হাসিমাখা মুখে তাদের কাছে গেলেন।

শিশুরা একটু বেশিই স্মার্ট। দ্রুত মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে চাইলো। আশেপাশে আরও শিশুরা ছুটে এলো ছবিতে অংশ নিতে। এভাবে এগিয়ে যেতে বিশালাকায় প্লেনের একটু পরপরই থামলেন। দুই দিকে বসে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আবার এগিয়ে গেলেন। শেষ দিকটায় পৌঁছে ডানের রো ধরে আবার এগিয়ে এলেন সামনের দিকে। একটু পরপরই চলছিলো ফটো সেশন। শিশুদের উৎসাহই যেনো বেশি। তারা নানা ভঙিমায় ছবি তুলছিলো।

নিরাপত্তা কর্মীদের দূরে রেখে প্রধানমন্ত্রী একাই এগিয়ে যেতে থাকেন। সেখানে না ছিলো কোনো প্রটোকল, না নিরাপত্তার কড়াকড়ি। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে অতি সাধারণভাবে কথা বলতে বলতে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রোটোকল আসাদ আলম সিয়ামকে দেখা গেলো অদূরে থেকে লক্ষ্য রাখতে। অদূরে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণের মাঝে মিশে যাওয়ার সুযোগ যখনই পান, তখনই তা করার চেষ্টা করেন। বুধবারের সন্ধ্যাটি ছিলো তেমনই একটি সুযোগ।

ফ্লাইটভর্তি যাত্রী। তাদের কাছে যাওয়ার এই সুযোগ তিনি হাতছাড়া করেননি, বলেন মাহবুবুল হক শাকিল।

আর তাছাড়া বোয়িং ৭৭৭ এর চারটি বিশালাকায় অত্যাধুনিক ও লাক্সারি প্লেন নতুন যুক্ত হয়েছে বিমান বহরে। বিজি ০১৬ তারই একটি। এই প্লেনটির নাম ‘রাঙাপ্রভাত’।

নামটিও যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া সেকথা তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বুধবার দুপুরেই। লন্ডনে হোটেল হিলটনে মিটিং রুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাদের এই নামকরণের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, লন্ডন প্রবাসীরা যাতে আরামে ও নির্বিঘ্নে দেশে যেতে ও আসতে পারেন সেজন্যই এই প্লেনগুলো কেনা হয়েছে। আধুনিকতায় ও সার্ভিসে এগুলো আন্তর্জাতিক মানের যে কোনো বিমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে, গর্বভরে বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আর সন্ধ্যায় প্লেনের তেমনই একটি নতুন ফ্লাইটে চেপে, যাত্রীতে পরিপূর্ণ দেখে যে খুশি হয়েছেন তারই প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী দেখালেন এই বিমানযাত্রায়।

নির্বিঘ্ন ছিলো বুধবারের যাত্রাটিও। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাঙাপ্রভাত।

সৌজন্যে : বাংলানিউজ২৪ডটকম।

(ওএস/অ/জুলাই ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test