E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অনুপস্থিত ওয়াসার এমডি, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

২০১৯ মে ১৬ ১৮:১০:৪৬
অনুপস্থিত ওয়াসার এমডি, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ডেকেও না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এমডির অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে সচিব বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উনাকে (এমডি) পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়। একই সঙ্গে টেলিফোনেও বিষয়টি অবহিত করা হয়।’

পরে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ জানিয়ে পরবর্তী বৈঠকে ওয়াসার এমডির উপস্থিতি নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সভাপতি ছাড়াও কমিটির সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ ফজলে নূর তাপস, আহসান আদেলুর রহমান এবং ওয়াসিকা আয়শা খান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার এমডিকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হলো এতদিন। এ জন্য ওয়াসার বিষয়ে তার কাছে জানার জন্য সংসদীয় কমিটিতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা।’

তিনি জানান, একই সঙ্গে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির ন্যায় ওয়াসাকে দ্বিখণ্ডিত করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্যও মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ জানানো হয়।

সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বেশ কিছু প্রকল্পের অগ্রগতিতে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামীতে নতুন কোনো প্রকল্প নেয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের তাগিদ দেয়া হয়। বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে নতুন প্রকল্প নেয়ার জন্য।

এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের আওতাধীন গৃহীত প্রকল্পের বিষয় আগামী ২ মাসের মধ্যে মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের সিটি কর্পোরেশনের কোনো কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ব্যাখ্যাসহ আগামী বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে কমিটি সুপারিশ করে।

টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, ওয়াসার নিম্নমানের পানির কারণে সেবাগ্রহিতাদের ৯১ শতাংশ ফুটিয়ে পানি পান করেন। এতে প্রতিবছর অন্তত ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয় হয়। এর জবাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ওয়াসার পানি শতভাগ শুদ্ধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী জুরাইনের এক ব্যক্তি ওয়াসার পানির শরবত বানিয়ে ওয়াসার সামনে গেলে সেই শরবত তিনি খাননি। তাকসিম এ খান বলেছেন, আমি তো খাব আমার পানি। আমি কোনটা খাব, না-খাব; সেটা তো আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। পানি ‘শতভাগ বিশুদ্ধ’ বলে দাবি করলেও সেই পানি দিয়ে অন্যের বানানো শরবত খেতে আপত্তি আছে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/মে ১৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test