E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাতীয় পরিচয়পত্রে ফি বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিল

২০১৯ জুন ০৪ ১৭:১৯:০৬
জাতীয় পরিচয়পত্রে ফি বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার : হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পুনরায় তোলার ফি বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনকি ১০ বছর পর এনআইডি নবায়ন করার সময়ও ফি নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল ইসির নিবন্ধন অনুবিভাগ। কিন্তু এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর জনগণের কাছ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ায় তা বাতিল করেছে ইসি।

জানা যায়, এখন হারানো বা নষ্ট হলে এনআইডি পেতে খরচ হয় ২৬৬ (ব্যাংকিং চার্জ ও ভ্যাটসহ) টাকা। আর জরুরিভিত্তিতে তা পেতে গেলে ফি দিতে হয় ৩৬৫ (ব্যাংকিং চার্জ ও ভ্যাটসহ) টাকা। তবে তা বাড়িয়ে পাঁচশ' টাকা থেকে একহাজার টাকা করার পরিকল্পনা করেছিল সংক্রান্ত অনুবিভাগ। এর বিনিমিয়ে কাগজের এনআইডি পরিবর্তে উন্নত মানের ‘স্মার্টকার্ড’ দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। বিশাল বাণিজ্যের কথা চিন্তা করেই এটি করতে যাচ্ছিল অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। এজন্য এ ধরনের বিধান রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) একটা প্রস্তাব তৈরি করেছিল। জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির এক সভার কার্যবিবরণীতে স্মার্টকার্ড বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সভাতে বিদ্যমান লেমিনেটেড কার্ডটি হারালে, সংশোধন ও নষ্ট হলে কি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে সেটিকে সামনে আনা হয়। সেখানেই ফি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

জানা যায়, এর আগে ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির পর থেকে বিনামূল্যে এ সেবা দিয়ে আসছিল ইসির এনআইডি অনুবিভাগ। পরে ২০১৫ সালে এসে সাধারণ জাতীয় পরিচয়পত্রের উপরোক্ত ফি নির্ধারণ করে কমিশন।দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে ইসির তথ্যভাণ্ডারে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসি নিবন্ধন অনুবিভাগের ফি বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে নিবন্ধন অনুবিভাগের ডিজি ও স্মাটকার্ড প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র পুনঃইস্যু করার ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। নাগরিকরা আগের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই হারানো বা নষ্ট বা সংশোধিত কার্ড পাবেন। কাগুজে লেমিনেটেড কার্ডের পরিবর্তে স্মার্টকার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নাগরিকদের হাতে ধাপে ধাপে স্মার্টকার্ড পৌঁছে যাবে।

(ওএস/এসপি/জুন ০৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test