E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালেন মেয়র আতিক

২০১৯ জুন ২২ ১৪:০৯:৫১
শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালেন মেয়র আতিক

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বর্তমান সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এই পদক্ষেপের অংশ।

শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টারে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম ৫ থেকে ৫৯ মাস বয়সী কয়েকটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।

মেয়র বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন এ- এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ হতে পারে। তাছাড়া শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। এ বিষয়ে মেয়র সব অভিভাবককে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এম মনজুর হোসেন, মোহম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে আজ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানো হচ্ছে।

এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএনসিসি এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ১৫ শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ রয়েছে। মোট ১,৪৯৯টি কেন্দ্রের (স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৪৫০) মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চলছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ কার্যক্রমে মোট স্বাস্থ্যকর্মী-স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন ২ হাজার ৯৯৮ জন, সেখানে প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন ১৮৩ জন আর তদারককারী ১০ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় সারির ১০৩ জন সুপারভাইজার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।

(ওএস/এসপি/জুন ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test