E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঢাবির সেই গবেষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়

২০১৯ জুলাই ০৯ ১৫:২৮:৩৯
ঢাবির সেই গবেষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক গবেষণা প্রটোকল না মানায় তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রথমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ‘নিরাপদ তরল দুধ উৎপাদন: দেশীয় দুগ্ধশিল্প রক্ষা ও বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।

তিনি বলেন, পিআর রিভিউ জার্নালে প্রকাশ হওয়ার আগেই ওই গবেষক তার গবেষণার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কিন্তু তার গবেষণার স্যাম্পল সঠিক ছিল না। গবেষণায়ও ত্রুটি ছিল। তাকে সাতদিনের সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক কোনো জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির সাত ধরনের পাস্তুরিত দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক এবং তিন ধরনের দুধে ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়ার পর তা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

গত ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বায়োমেডিকেল সেন্টারের পরিচালক এবং ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, এ গবেষণার জন্য বাজার থেকে পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হলো মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ, ইগলু, ইগলু চকোলেট ও ইগলু ম্যাংগো। পাস্তুরিত দুধের তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয় রাজধানীর পলাশী, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর বাজার থেকে।

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, আমরা যে ফলাফল দিয়েছি, তা নমুনা ফলাফল। তার মানে এই নয় যে ওই সব কোম্পানির সব পণ্যই এ রকম। তবে এভাবে যেখানে-সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হলে আমরা কিন্তু থাকব না, মরে যাব। অ্যান্টিবায়োটিক যে গরুকে খাওয়ানো হলো, ওই গরুর দুধ ও মাংস আমরা খেলে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে। মানুষকে বাঁচাতে এখনই গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে।

ওই গবেষণার ফল প্রকাশের পরপরই দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গবেষকদের সংবাদ সম্মেলনের তিনদিন পর ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার জানান, ওই গবেষণার সঙ্গে ফার্মেসি বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি গবেষণাটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test