E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শান্তি ও নির্যাতিত মুসলমানদের মুক্তি কামনায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

২০১৪ জুলাই ২৯ ১৩:০২:০০
শান্তি ও নির্যাতিত মুসলমানদের মুক্তি কামনায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য, সৃষ্টিকর্তার নিকট পানাহ ও শান্তি, সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য ক্ষমা ও দোয়া এবং নির্যাতিত মুসলনমানদের মুক্তি কামনা করে আদায় করা হয়েছে ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত।

সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও তা উপেক্ষা করে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং রাজধানীবাসীরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পাশে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জড়ো হয়ে ঈদের জামাত আদায় করেন।

ঈদের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিকে মাথায় নিয়েই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহ ময়দানে জড়ো হন। মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগমের কারণে ঈদগাহের ময়দান ছাড়িয়ে সার্ক ফোয়ারার ডানে গণপূর্ত অধিদফতরের সামনের সড়ক ও বামে সিরডাপের সামনের সড়কেও মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হলেও বেশিরভাগ মুসুল্লিরা ৮টার সময়েই ঈদগাহ ময়দানে হাজির হন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ঈদের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে আসেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন ঈদগাহে অনুষ্ঠিত ঈদের প্রধান জামাতের ইমামতি করেন। মূল ক্বারীর দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মাওলানা হাবিবুর রহমান এবং উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক পরিচালক মাওলানা এ টি এম ইনামুল হক।

অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন জামাতের আগে পবিত্র রমযান ও ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরেন। দোয়া কামণায় তিনি বিশ্বের সকল মুসলমান বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের মুক্তির জন্য দোয়া করেন। ঈদের দিনের আনন্দের মতো সারা বিশ্বের মুসলামানদের প্রতিদিন যাতে আনন্দে কাটে এবং সকলের জন্য শান্তি ও রহমত চেয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনার মাধ্যমে আবেদন জানান।

নামাজ আদায় শেষে ধনী-গরিব, ছোট-বড়সহ ঈদের ময়দানে উপস্থিত সকলে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। ঈদের জামাতের ইমাম, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা নামাজ আদায় শেষে সকলের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।

ঈদের জামাত কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ঈদের ময়দানের চারপাশে প্রচুর ভিক্ষুকের আনাগোনা ছিল। নামাজ আদায় শেষে সামর্থ্যবান মুসুল্লিদের দান করতে দেখা গেছে।

ঈদগাহের প্রবেশ পথের পাশে শিশুদের বিনোদনের জন্য বেলুনসহ হরেক রকমের খেলনা সামগ্রীর পসরা নিয়ে হকাররা হাজির ছিল। নামাজ শেষে শিশুদেরকে খেলনা ও উপহার সামগ্রী কিনে দিতে দেখা গেছে অভিবাবকদের।

ধানমন্ডি থেকে অভিবাবকের সঙ্গে নামাজ পড়তে আসা ৯ বছরের শিশু রাসনা বলেন, ‘প্রতিদিন ঈদ হোক। তাহলে প্রতিদিন বাবা নামাজ পড়তে নিয়ে আসবেন আর বেলুন কিনে দিবেন।’

(ওএস/এটিআর/জুলাই ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test