E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

২০১৯ জুলাই ১৩ ১৬:৪৯:৪৩
নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার : ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষীর সংখ্যা ৯২। চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সাক্ষীর ওপর কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে না পারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টবগেশন (পিবিআই)।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পিবিআই'র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া অংশ নেয়।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এ মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তবে এই মামলায় ১-৭ পর্যন্ত সাক্ষীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বাকি ৮-৩২ পর্যন্ত সাক্ষীর ওপর মামলার ভবিষ্যত নির্ভর করবে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

নিজ কক্ষে ওসি ভুক্তভোগী নুসরাতের ভিডিও করেছিলেন। সেটি তিনি করতে পারেন কি না জানতে চাইলে বনজ কুমার বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে ওসি ভিডিও করতে পারেন। তবে নুসরাতের ঘটনার ক্ষেত্রে ওসি মোয়াজ্জেমের ভিডিও করার এখতিয়ার ছিল না। এটা তার বাড়াবাড়ি ছিল।’

এই মামলায় সাক্ষীদের ওপর কোনো ধরনের চাপ কিংবা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মামলাতে মানসিক চাপ থাকে। এই মামলায়ও মানসিক চাপ ছিল। তবে সব ধরনের চাপ অতিক্রম করেই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

ওসি মোয়াজ্জেমকে হাতকড়া না পরিয়ে বীরের মত আদালকে নেয়া হয়েছে, পক্ষান্তরে সিনিয়র সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, যদি আসামি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আসামিকে পুলিশ হাতকড়া পড়াতে পারেন। কিন্তু অসুস্থ কোনো মানুষকে পুলিশ হাতকড়া পড়াতে পারে না। ওই সিনিয়র সাংবাদিককে যে হাতকড়া পড়িয়েছিল সেটা তার ঠিক হয়নি। এতদিনে হয়তো ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিও হতে পারে৷

নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন। কারণ নারী নির্যাতনের বিষয়গুলোতে দেখা যায়, শিক্ষিত, অশিক্ষিত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের আপন সদস্যরাও জড়িত থাকে। এর জন্য মূল্যবোধের চর্চা করা প্রয়োজন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test