E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডাক্তারদের উপস্থিতি ডিসিদের নজরে রাখতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২০১৯ জুলাই ১৭ ১৬:৪০:৫৭
ডাক্তারদের উপস্থিতি ডিসিদের নজরে রাখতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারা নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন কি না, সে বিষয়ে নজর রাখতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থ দিনের চতুর্থ অধিবেশনে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এটা ডিসিদের জানিয়েছি। জেলা-উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজে আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিষয়গুলো তুলে ধরলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসিদের বললাম যে আপনারা নিয়মিত মিটিং করবেন। স্বাস্থ্য রিলেটেড যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, জেলা, উপজেলা হাসপাতলে মিটিং করবেন। সেসব জায়গায় যাবেন, পরিদর্শন করবেন। সেসব হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি লক্ষ রাখবেন। রোগীরা যাতে ভালো সেবা পান- এ বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে ক্যান্সার ও হার্টের রোগ অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণগুলো ডিসিদের বললাম। এর একটি কারণ হলো- ভেজাল খাবার। এদিকে নজর রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করা যাবে না। ইটের ভাটার ধোঁয়া যাতে বায়ু দূষণ করতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এর ফলে ক্যান্সার ও স্ট্রোক হয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করছি। প্রতিটি বিভাগে একটি করে কিডনি হাসপাতালও করতে যাচ্ছি। প্রতিটি জেলায় ৫ বেড করে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলোর কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্য বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ফার্মেসিগুলো প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করে, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। আমাদের ওষুধ পলিসিতেও এটা রয়েছে, কিন্তু এটা সবাই মানে না।

তিনি আরও বলেন, গরুর খামার, পোল্ট্রি, মৎস্য খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হয়। সেটা গরু, পোল্ট্রি ও মাছ হয়ে আবার মানুষের গায়েও চলে আসে। এ বিষয়গুলোতেও ডিসিদের সতর্ক হতে বলেছি। বিভিন্ন স্থানে উনারা গিয়ে এ বিষয়টি যেন নিয়ন্ত্রণ করেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test