সম্রাট আওরঙ্গজেবের বাড়িতে প্রচন্ড ভিড়!
নিউজ ডেস্ক : মানুষের প্রচন্ড ভিড় লেগেছে সম্রাট আওরঙ্গজেবের বাড়ীতে। আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর তার ৩য় পুত্র আজম শাহ এই বাড়িতে বসবাস করতেন। আওরঙ্গবাদ গেট, দরবার হল ও দুর্গ মসজিদে সব খানেই মানুষ আর মানুষ। সবাই যেন স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছেন মুঘল সাম্রাজ্যে।
আওরঙ্গজেব ও তার সেনাবাহিনী না থাকলে আছে তার রেখে যাওয়া নানান নির্দশন। আর সেসব নিদর্শন দেখতেই দূর দুরান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ ছুটে এসেছেন আওরঙ্গজেবের কেল্লায়। ঐতিহাসিক এ কেল্লা নারী শিশু ও পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও বৃহস্পতিবার এমন চিত্রই দেখা গেল পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত লালবাগের কেল্লায়। মোঘল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি মোঘল ঐতিহাসিক নিদর্শনটি অবস্থানগত কারণেই সবার কাছে পরিচিত লালবাগের কেল্লা নামে।
প্রথমে এই কেল্লার নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। আর এই কেল্লার নকশা করেন মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য় পুত্র আজম শাহ । তিনি ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার সুবেদার হয়ে এদেশে এসেছিলেন। তিনি নিজের বাসস্থান হিসেবে কেল্লা আওরঙ্গবাদ নামে এ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করার মাত্র এক বছর শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য তার পিতা সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। এসময় তিনি শুধু একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণ করেছিলেন ।
এই কেল্লার ভিতর বাইরের চিত্র আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। সকালে থেকেই আসতে থাকে দর্শনার্থীরা। এসব দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, পুরুষ ও নারীরা নিজ নিজ টিকেট কাউন্টার থেকে প্রবেশের টিকেট সংগ্রহ করছেন। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় যারা টিকেট বিক্রির দায়িত্বে আছেন অনেকটাই হিমসিম খাচ্ছেন। গেটের ভেতর থেকে শুরু করে সবখানেই দর্শনার্থী। গেট দিয়ে এগাতেই প্রথমেই পরীবিবির মাজার। দর্শনার্থীরা প্রথমেই মাজারের সামনে গিয়ে একপলক হলেও দেখছেন কবরটিকে। মাজারের সামনে কেউ বসে সময় কাটাচ্ছেন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শুকনো ফোয়ারার নিচে নেমে উল্লাস করছে।
তারপরেই ছুটছেন পাশের দক্ষিণ দিকের দুর্গে। নানান বয়সী দর্শনার্থী এ দুর্গে উঠছেন আর ঘুরে ঘুরে দেখছেন। দুর্গের পশ্চিম দিকে কোন কোন তরুণ ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে পানির নালা দেখছেন। অনেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন এ দুর্গের অনেক কিছুই। এ দুর্গের মাঝামাঝি গুপ্তপথ দেখেই অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
একসময় এসব গুপ্তপথ দিয়েই নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দা দুর্গে যাওয়া যেতো বলে প্রচলিত রয়েছে। তবে গুপ্তপথ নোংরা আবর্জনা জমে দর্শনার্থীদের যাবার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই এখন গুপ্তপথটি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। দুর্গের পূর্ব দিকে অসমাপ্ত কাজ দেখার জন্য অনেক দেয়ালে ওঠারও চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এ স্মৃতিকে ফ্রেমে ধরে রাখার ছবিও তুলছেন।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, ১৬৮০ সালে নবাব শায়েস্তা খাঁ ঢাকার সুবেদার হয়ে আসেন। কেল্লার কাজ সমাপ্ত করার জন্য শাহজাদা আজম শাহ তাকে অনুরোধ করেছিলেন। তাই তিনি এদেশে সুবেদার হয়ে আসার পর পুনরায় দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করার চার বছরের মাথায় তার আদরের কন্যা পরীবিবির মৃত্যু হয়। এতে তিনি মানসিক ভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তা খান এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
দুর্গ দেখা হলেই দর্শনার্থীরা ছুটছেন দক্ষিণের ফটক থেকে উত্তরের ফটকে যাওয়ার মাঝ পথে পুকুরে। পুকুরে এখন পানি না থাকলেও তরুণ তরুণীরা লোহার বেড়া টপকে সেই পুকুরে নামছেন আর ঘুরছেন। জনশ্রুতি আছে, তখনকার সময়ে সিপাহী বিপ্লবে নিহত এ অঞ্চলের সৈন্যদের লাশ এ পুকুরে ফেলা হতো।
দুর্গ, পুকুর দেখা হলেই ছুটছেন কেল্লার দরবার হল ও হাম্মামখানায়। একসময় দরবার হলেই সুবেদাররা দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করতেন। দরবার ঘরের নিচতলায় হাম্মামখানায় প্রচণ্ড ভিড় মানুষের। মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শনটি জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করায় সেই আমলের বিভিন্ন হালকা, ভারী অস্ত্র, যুদ্ধের পোষাক, গোসলখানা ও ব্যবহার্য তৈজসপত্রগুলো ঘুরে ফিরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।
যেসব দর্শনার্থী সারা কেল্লা ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তারা ছুটছেন পূর্বদিকের গাছের ছায়ায়। সেখানে গিয়ে নিজেকে জিরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ পুরো পরিবার ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে গল্প ও গুজবে মেতে উঠছেন।
এ কেল্লায় বাড্ডা এলাকা থেকে আসা সায়েম আহমেদ জানান, তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে তেমনটা সময় দিতে পারেন না। সপ্তাহে মাত্র একদিন ছুটি থাকে তার। কিন্তু তখন সময় ও সুযোগ তেমনটা হয়ে ওঠে না। সায়েম আহমেদ বলেন, ‘ছুটি পাওয়ার কারণে পরিবারকে সময় দিতে পারছি। আজ অনেক ভাল লাগছে। ফাঁকা শহরে ঘুরতে ঘুরতে ভাবলাম যাই কেল্লাটাও দেখে আসি।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দান ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সেমিস্টারের আইন বিভাগের ছাত্র তামজিদ সরকার বলেন, ‘অন্যান্য দিনের চেয়ে ভিড় বাড়লেও ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগছে।’
প্রেমিক জুটি মিমি ও রাফি বলেন, ‘ঢাকার অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার কোন পরিবেশ নেই। এখানে আসলে ইচ্ছেমতো ঘুরে ফিরে দেখে গল্প গুজব করে সময় কাটানো যায়। তাই আমার পাখির পছন্দ মতই এখানে এলাম।’
(ওএস/এটিআর/জুলাই ৩১, ২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- এক দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
- ‘নির্বাচন এলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুমকেতুর মতো যাদের আগমন ঘটে তাদের সর্বত্র বর্জন করুন’
- ‘আমি ব্যর্থ নই, সফল হয়েছি’
- গোপালগঞ্জে বিল থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার
- ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
- দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আটক ২১ দালালের নেপথ্যে শক্তিশালী সিন্ডিকেট
- ঈশ্বরদীতে ফেন্সিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ২ সিপাহী আটক
- বোয়ালমারীতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মৃধা
- চাটমোহরে যুবলীগ নেতাকে চাপাতি দিয়ে কোপাল দুর্বৃত্তরা
- নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু
- টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
- মৌলভীবাজারে মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগকে মিথ্যা বললেন মোতাওয়াল্লী
- নির্বাচনে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চান ফাতেমা বেগম
- সালথায় ওয়াদুদ মাতুব্বরের নির্বাচনী পথসভা জনসভায় পরিণত
- নগরকান্দায় ভূত আতঙ্কে অসুস্থ একাধিক শিক্ষার্থী
- শ্যামনগরে মৎস্য ঘের জবরদখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ‘কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে’
- ওয়ালটন ৪২তম জাতীয় মহিলা দাবা শুরু সোমবার
- মহম্মদপুরে নারীদের নিয়ে আনারস প্রতীকের উঠান বৈঠক
- চিনা বাদাম চাষে ঝুঁকছেন জগন্নাথপুরের কৃষকরা
- প্লাস্টার হাতে কানে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া
- রিজার্ভ বিষয়টির ‘রাজনৈতিক’ ব্যবহার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে
- গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও, স্মারক লিপি পেশ
- ঠাসা শিডিউল করায় বোর্ডের সমালোচনা হরভজনের
- চুয়াডাঙ্গায় দুগ্ধপণ্য উৎপাদনে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
- ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জাতীয় সম্মেলনে সিলেটের নেতৃবৃন্দের যোগদান
- জৈন্তাপুরে পুলিশি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক আটক
- সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের সাথে হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু
- ফরিদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা
- পাংশায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার ইউপি সদস্য মহিন
- বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ অমানবিক : আইজিপি
- সাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ, দুশ্চিন্তায় জেলেরা
- ‘ভোটাররা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় উপস্থিতি কম’
- এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
- ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদনে রসাটমের নতুন প্রযুক্তি
- ইয়াকুতিয়া নিউক্লিয়ার আইসব্রেকারে জ্বালানী সরবরাহ সম্পন্ন
- কাপাসিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ
- ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- মানুষের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম
- ৬ লেন প্রকল্পে টেন্ডার হওয়ার আগে গাছ কাটা যাবে না
- দেশের বাজারে আসছে নাম্বার ওয়ান স্মার্টফোন অনার ম্যাজিক ৬ প্রো
- স্কুল ছুটি দিয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে দাওয়াত খেতে গেলেন প্রধান শিক্ষক
- যে কারণে এসএসসিতে ছাত্রীরা এগিয়ে
- সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার নিখোঁজ
- কিরগিজস্তানে কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর মেলেনি
- ‘বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল’
- ‘এরকম চললে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা হারাবে’
- মরা নদের গল্প
- গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !