E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডেঙ্গু জ্বর কমে যাওয়াটাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সময়!

২০১৯ আগস্ট ০৪ ১৫:২১:৫৪
ডেঙ্গু জ্বর কমে যাওয়াটাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সময়!

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ৬ মাস বয়সী শিশু ওমর ফারুককে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন নূর নবি। রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে আসা নূর নবি বলেন, ‘তার সন্তানের এর আগে একবার ডেঙ্গু হয়েছিল। শিশু হাসপাতালে জায়গা না থাকায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে (শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) চিকিৎসা করাইছি। তিন দিন চিকিৎসার পরে ভালো হয়ে যায় আমার শিশু। ওর জ্বর কমে যায়। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে গেলে আবার জ্বর আসে। পাতলা পায়খানাও হচ্ছে। ঘুমানোর সময় চোখ বন্ধ করে না। তাই আবার হাসপাতালে আসলাম।’

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের জ্বর কমে গেলে সেই সময়টাকে ‘ক্রিটিক্যাল স্টেজ’ বা ‘সবচেয়ে ঝুঁকির সময়’ বলা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময় কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শায়লা ইমাম কান্তা বলেন, ‘জ্বরের কয়েকটা পিরিয়ড আছে। জ্বরটা যখন কমে যায়, সেটা হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকির সময়। এটাকে ক্রিটিক্যাল স্টেজও বলা হয়। প্রথম দুই থেকে তিন দিন যখন জ্বরটা থাকে, তখন বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। এর মধ্যে ফলের রস, দুধ, সুপসহ পানি জাতীয় খাবারগুলো পড়ে। বাড়ির এই সাধারণ খাবারগুলো খাবে একটু বেশি বেশি।’

তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটা জিনিস, যেটাকে আমরা বলি “ক্রিটিক্যাল সাইন”। বাচ্চার প্রস্রাবটা ঠিকমতো হচ্ছে কি-না, ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব করছে কি-না, অতিরিক্ত বমি হচ্ছে কি-না, গায়ে দাগ হচ্ছে কি-না, রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না–এগুলো শিশুর শরীরে দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আসতে হবে।’

এ ধরনের রোগীকে প্রথমেই দুই ধরনের পরীক্ষা করতে বলা হয়। যার একটি করা হয় রাজধানীর শিশু হাসপাতালে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ১৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছে তিনজন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test