E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পরিবহনে নৈরাজ্য-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

২০১৯ আগস্ট ১০ ১৫:০৯:১৯
পরিবহনে নৈরাজ্য-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালক অপসারণ করে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও দুর্ঘটনামুক্ত ঈদযাত্রা নিশ্চিতের দাবি জানায় সংগঠনটি।

শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলপথে টিকিট কালোবাজারি ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে বেশিভাগ ঘরমুখো মানুষ। সড়কপথে ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পশু বহন, ফিটনেবসিহীন বাসে যাত্রী পরিবহনের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। একদিক বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে যানবাহনের ধীরগতির কারণে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে থেকে থেকে যানবাহন চলছে, অন্যদিকে মানবসৃষ্ট দুর্ভোগ নিরসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কড়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে পথে পথে পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এ কারণেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

বলা হয়েছে, নৌ পথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চঘাটে যাত্রী ও মালামাল পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নৌ পথের যাত্রীর ৮-১২ ঘণ্টায় অপেক্ষার পর ফেরি পারাপার হচ্ছে। এর ফলেও রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ পথে এবারো চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি দামে টিকিট কিনে যাত্রীদের বাড়ি যেতে হচ্ছে।

সড়ক, নৌ ও রেলপথে বাড়তি ভাড়া বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম থাকলেও আকাশ পথে তেমন কোনো প্রতিরোধ টিম না থাকায় সেখানে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঈদ এলে সব পথেই ভাড়া ডাকাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েত আহমেদ সাকী বলেন, গণপরিবহন খাতে ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি চললেও বর্তমান সরকারের বিগত ১১ বছরে ২২টি ঈদে এ খাতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। সড়ক ও নৌ পথে ফিটনেসবিহীন লক্কর ঝক্কর পরিবহন চললেও তা বন্ধ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ এলেই একটি সিন্ডিকেট পশুবাহী গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। দ্রুত পরিবহনের নৈরাজ্য ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বারভিটার চেয়ারম্যান আব্দুল হক, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test