E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে লাগবে ৭৫ জন শিক্ষার্থী

২০১৯ আগস্ট ১৯ ১৯:৫৩:৩৮
প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে লাগবে ৭৫ জন শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে দুইটি নীতিমালার খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নীতিমালা অনুযায়ী ৭৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য থাকতে হবে ১৫ জন শিক্ষক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৯ আগস্ট) তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নীতিমালা দু’টির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সম্পর্কিত সমন্বিত/বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’ এবং ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) ব্যতীত প্রতিবন্ধী সম্পর্কিত সমন্বিত/বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’ অনুমোদিত হয়।

শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে অন্যান্য নীতির সঙ্গে সমন্বয় করে এই নীতিমালা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রচলিত নীতিমালাগুলো সমন্বিত করে তৈরি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অন্যান্য দেশে যেভাবে স্কুল হয়, যেমন- নরমাল স্কুলে যদি প্রতিবন্ধীরা পড়ে তাহলে তাদের ডেভেলপমেন্টটা ভালো হয়। তবে একান্তই যেগুলো কেয়ারের প্রয়োজন সেটার জন্য আলাদাভাবে সময় দেওয়া লাগে। বিদেশে যেটা করে থাকে।

ন্যূনতম ৭৫ জন শিক্ষার্থী থাকলে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রতি পাঁচজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকবেন। অটিজমদের জন্য টেককেয়ার বেশি প্রয়োজন তাই শিক্ষকও বেশি নিয়োগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র, মানহীন ও অননুমোদিতভাবে বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার একটি অনুশাসন দিয়ে বলছিলো আপনার এ জাতীয় স্কুল করবেন না। কিন্তু না মানার পরিপ্রেক্ষিতেই এ নীতিমালাটা করা হলো। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন যেমন তেমনভাবে করতে পারবে না।

নীতিমালায় মোটামুটিভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শর্তগুলো কী হবে, বেতন স্কেল কী হবে, এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে হলে অনুমতি নিতে হবে- এ বিষয়গুলো উল্লেখ আছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তবে কারিকুলাম ফলো করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রতিষ্ঠান অনুমতির দেওয়ার জন্য আলাদা কমিটি করা আছে। জেলা পর্যায়ে স্থাপিত বিদ্যালয়ের জন্য জেলাপ্রশাসক বা প্রতিনিধি নিয়ে ১৩ জনের কমিটি আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়ে একইভাবে ১৩ জনের কমিটি হবে।

এছাড়া সেনা এলাকায় সংশ্লিষ্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল বা সমমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে ১৩ জনের কমিটি করা হবে।

বেসরকারি খাতের জন্যই এই নীতিমালা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেতন-ভাতা তথা এমপিও দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কেউ পেশাগত অসাদাচরণ করলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শাস্তির প্রয়োগের জন্য আপিলের বিধানও রাখা হয়েছে।

বর্তমানে এ ধরনের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো যদি এ নীতিমালার ব্যাপ্তয় না হয় তাহেল সেগুলোর কন্টিনিউ করবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে মাস্টার্স পর্যন্ত করা যাবে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test