E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বিএনপি খুনির দল, এ হায়েনারা যেন আর আসতে না পারে’

২০১৯ আগস্ট ৩০ ২২:৪৬:১২
‘বিএনপি খুনির দল, এ হায়েনারা যেন আর আসতে না পারে’

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিকে খুনির দল হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যাতে এই হায়েনার হাতে না পড়ে সে বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (উত্তর ও দক্ষিণ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপি খুনির দল-এর স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাঝে মধ্যে পত্রিকায় দেখি, ইদানিং বিএনপি নেতারা নিজেদের সাফাই গাইতে একটা কথা বলা শুরু করেছেন। ’৭৫ এ তো বিএনপি প্রতিষ্ঠিতই হয়নি, কাজেই তারা খুন করলো কীভাবে।’

‘বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা যখন খুনি, ও শুধু খুনিই না, খুনের সঙ্গে তো জড়িত ছিলই আবার এই খুনিদের বিচার হবে না, তার জন্য যেমন ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি হয়েছিল, একই সঙ্গে এই খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যিনি দল সৃষ্টিকারী, সেই সৃষ্টিকারীই যখন খুনি আর খুনিদের নিয়েই যারা চলে তারা খুনের সঙ্গে যে জড়িত এটার আবার সাফাই গাওয়ার তো কিছু নেই।’

‘৯৬ (১৯৯৬) সালে অবৈধ নির্বাচনে খালেদা জিয়া খুনি রশীদকে শুধু সংসদ সদস্য করে পার্লামেন্টের পবিত্রতা নষ্ট করে নাই, তাদের বিরোধী দলের আসনেও বসিয়েছিল। জিয়াউর রহমান যেমন খুনিদের পুরস্কৃত করলো, খালেদা জিয়াও একইভাবে এই খুনিদের পার্লামেন্টে নিয়ে আসলো, ভোট চুরি করে।’

তিনি বলেন, ‘তাহলে বিএনপি যে খুনির দল না সে কথা তারা বলে কী করে? যে বিএনপি জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের এনে বসালো পার্লামেন্টে?’

প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আদর্শের রাজনীতিকে কলুষিত করে একটা খুনের রাজত্ব করেছিল বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

হায়েনাদের বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কাজ করে গেছি। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সম্ভবনা হারিয়ে গিয়েছিল। আজকে আমরা সব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এখান থেকে যেন আর কখনও ওই রকম হায়েনাদের হাতে না পড়ে এ ব্যাপার দেশবাসীকে সর্তক থাকার আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের এটাও জানা উচিৎ- জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে, মার্শাল ল’ জারি করে নিজেকে নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা, এটা যে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা। বিএনপির সৃষ্টিটাও তো অবৈধ হয়ে যায়।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘এই মোশতাকই কিন্তু জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিল। নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত মানুষ, যে মোশতাকের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, রশীদ-ফারুকের সঙ্গে চক্রান্তে ছিল। সহযোগিতা করেছিল, সেই জিয়াউর রহমানকে খন্দকার মোশতাক সেনাপ্রধান করে।’

‘আর পরবর্তীতে সেই সেনাপ্রধানই একদিকে সেনাপ্রধান আর একদিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেয়, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের ভিতরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যারা মোশতাকের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে চক্রান্তে জড়িত, তারা কিন্তু পরবর্তীতে মোশতাকের সঙ্গে না পরবর্তীতে জিয়ার সঙ্গে গেছে। এখনও অনেকে বেঁচে আছে, অনেকে বেশ বড় বড় কথাও বলে। তারা যে এই চক্রান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ জড়িত আজকে তা প্রমাণিত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কী করলো? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিলো। অর্ডিনেন্স দিয়ে ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে দিয়ে এদের মুক্ত করে দিল। আর জিয়াউর রহমান যখন মন্ত্রিসভা গঠন করলো, প্রধানমন্ত্রী হলো স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজ। যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ছিল।

‘একইভাবে আলীম, মাওলানা মান্নানসহ যারা ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর, তারা হয়ে গেল বাংলাদেশের মন্ত্রী। একদিকে খুনিদের পুরস্কৃত করা, আরেক দিকে যুদ্ধাপরাধী, এমনকি যারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট পর্যন্ত নেয়নি, যারা ভেগে চলে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে এনে সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করলো। ব্যবসায়িকভাবেও তাদের লাভবান করতে ঋণ খেলাপি কালচারটা শুরু করে দিলো।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/আগস্ট ৩০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test